মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। আজ মঙ্গলবারই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পাহাড়ি দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনাকে গণতন্ত্রের ওপর ‘ভীষণ আঘাত’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
জাতিসংঘে ব্রিটেনের দূত বারবারা উডওয়ার্ড সাফ জানিয়েছেন, গত নভেম্বর মাসে মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলকে বৈধ হিসেবে গণ্য করা হবে। নেত্রী সু চি’র দ্রুত মুক্তির জন্য চেষ্টা করবে লন্ডন।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি স্টেফানি দুজারিক জানিয়েছেন, ফোন ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদাওয়ে থাকা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। এই অভ্যুত্থানের ফলে রাখাইন প্রদেশে থাকা রোহিঙ্গাদের জীবন আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
উল্লেখ্য, সোমবার মিয়ানমারের শাসকদল ‘ন্যাশনাল লিগ অব ডেমোক্র্যাটিক পার্ট (এনএলডি)-এর মুখপাত্র মায়ও নায়ান্ট জানান, আচমকা কাউন্সিলর সু চি, প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও অন্য নেতাদের আটক করে সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, গত বছরের নভেম্বরে বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতায় ফেরে আং সান সু চি’র দল এনএলডি। মিয়ানমার সংসদের নিন্মকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে সু চি সরকারের। নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগও করেছে জান্তা (বার্মিজ সেনাবাহিনী)।
বলে রাখা ভাল, ২০০৮ সালে সামরিক নজরদারিতে যে সংবিধান তৈরি হয়েছে, সেখানে পার্লামেন্টে কোনও বড় আইন রুখে দেওয়ার মতো আসন সেনাবাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোও সেনাবাহিনীর হাত রয়েছে। ফলে দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর পর দেশটিতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেও সেখানে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠা হয়নি। এরমধ্যে আবারও সামরিক শাসনের কবলে পড়ল মিয়ানমার। সূত্র: ডয়েচে ভেলে, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রে