মুখের স্বাস্থ্য ঠিকঠাক খেয়াল না রাখলে হতে পারে দুর্গন্ধ। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, মুখের স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে দাঁতের রোগ থেকে শুরু করে মাথার অসুখ পর্যন্ত হতে পারে। তাই দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝতে হবে। এক্ষেত্রে দাঁত ও মাড়ি দুইটিরই খেয়াল রাখাটা জরুরি।
মুখের দুর্গন্ধ যাতে পাশের জনের কাছে না পৌঁছায়, তার জন্য অধিকাংশই মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করে থাকেন। তাই নিশ্বাসে দুর্গন্ধের বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। তবে মাউথ ফ্রেশনার কিন্তু কোনো দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। মুখের দুর্গন্ধ থেকে নিষ্কৃতি পেতে কী কী করবেন জেনে নিন।
- ধূমপানে নিশ্বাসে দুর্গন্ধের সমস্যা বাড়ে। তামাক মুখের ভেতরটা শুকিয়ে দেয় এবং যার ফলে মুখ থেকে এক ধরনের গন্ধ বের হয়। এটা দাঁত ব্রাশ করার পরেও থাকতে পারে। তাই তামাকজাত দ্রব্য এড়িয়ে চলুন।
- ভালো করে ব্রাশ করুন। ব্রাশ করলেই মুখের হাজার সমস্যার সমাধান সম্ভব। দিনে দুইবার ব্রাশ করা উচিত। তবে প্রয়োজন বোধ করলে তিন থেকে চারবারও ব্রাশ করা যেতে পারে। কিন্তু অকারণে ব্রাশ করতে যাবেন না। আর কখনো এক ব্রাশ বেশিদিন ব্যবহার করবেন না। দুই থেকে তিন মাস অন্তর ব্রাশ বদলে ফেলুন।
- দাঁত মাজার ভালো পেস্ট ব্যবহার করুন। কারণ ভালো মাজন মুখের ভেতরের জীবাণুকে সহজেই মেরে ফেলতে পারবে।
- দাঁত মাজতে হবে সঠিক নিয়ম মেনে। ওপর-নিচ করে দাঁত মাজুন। অর্থাৎ একবার দাঁতের ওপরে ব্রাশ নিয়ে যান তো পরক্ষণে নিচে নামান ব্রাশ। এই পদ্ধতিতে দাঁত মাজুনন।
- পানি শুধু শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে না, মুখের ভেতরটাও ভেজা রাখে। কারণ মুখের ভেতর শুকিয়ে গেলেই তা থেকে দুর্গন্ধ ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই এই সমস্যা এড়াতে পারমিাণমতো পানি পান করুন। পানি খেলে মুখে কোনো খাবারের কণা বা টুকরা থাকলে, পানির সঙ্গে সেটাও বেরিয়ে যাবে।
- দাঁতের পাশাপাশি মাড়িতেও ব্রাশ করুন। ব্রাশ করার পর মুখ ভালো করে কুলকুচি করে ধুয়ে নিন। এক্ষেত্রে গ্রিন টি দিয়ে কুলকুচি করলে মুখের মধ্যে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়া বৃদ্ধি পায়না।
- জিভ ভালো করে পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। বেশিরভাগ ব্রাশের পেছনেই জিভ পরিষ্কার করার ব্যবস্থা থাকে। পারলে আলাদা করে জিভ পরিষ্কারের উপকরণও ব্যবহার করতে পারেন।
- মুখ ধোয়ার পর মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। তবেই মুখ ভালোমতো পরিষ্কার হবে।
- কারও সঙ্গে কথা বলার আগে মাউথ ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে মুখের গন্ধ সহজেই দূর করা যাবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বের প্রায় ৮ কোটি মানুষ ‘হ্যালিটোসিস’ নামক এই সমস্যায় ভুগছেন। দাঁতের মধ্যে জমে থাকা খাবারের টুকরা থেকেও এই সমস্যা বাড়তে পারে। তাই দাঁত পরিষ্কার রাখা উচিত। মুখের দুর্গন্ধ সমস্যা বেশি মনে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।