মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথের স্মৃতিবিজড়িত স্থান মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল প্রথম সরকারের শপথের মধ্যে দিয়ে যার নামকরণ করা হয় মুজিবনগর। স্বাধীনতার ৫২ বছরে মুজিবনগরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র, ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যর স্বাধীনতা সড়ক বাস্তবায়ন হয়েছে। যে সড়ক দিয়ে যাত্রী পারাপার ও পণ্য আমদানী রপ্তানীর জন্য গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে স্থলবন্দরের। সে গেজেট প্রকাশও বছর গড়িয়েছে। এছাড়া নতুন করে চারশ নয় কোটি নয় লক্ষ টাকা বরাদ্দের আন্তর্জাতিক মানের ‘মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প’ নামে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
নতুন প্রস্তাবিত প্রকল্প সম্পন্ন হলে পাল্টে যাবে মুজিবনগরের চিত্র। মুজিবনগরকে দেখেই পুরো মুক্তিযুদ্ধের চিত্রপট পর্যটকের চোখের সামনে ভেসে উঠবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওবেয়সাইট থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২০মে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেখান থেকে কিছু সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। সে সংশোধনীতে এখনো আটকে রয়েছে প্রকল্পটি।
নতুন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক স্কাল্পচার গার্ডেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার মেমোরিয়াল মুর্যাল ও শপথ গ্রহণের গ্রাউণ্ড, শেখ হাসিনা মঞ্চ, প্যানোরমা ও অ্যাম্পি থিয়েটার, হিস্টোরি ওয়াক, ৩ তলা বিশিষ্ট অ্যাডমিন ব্লক, ২ তলা বিশিষ্ট মাল্টিপারপাস ব্লক, ৪তলা বিশিষ্ট ট্রেণিং সেন্টার, ৪তলা বিশিষ্ট অফিসার্স ও স্টাফ কোয়ার্টার, সুইমিং পুল, ফুড জিয়স্ক ও রেস্ট রুম, রেন্টাল সপ, ওয়াচ টাওয়ার, ভিভিআইপি ও ভিআইপি পার্কিং, সাধারণ পার্কিং, মাছ ধরার ডেক, রোপ ওয়ে, ২তলা বিশিষ্ট বোট ক্লাব, সুপেয় পানির ডিসপেনসার, ব্যাংক প্রটেকশনসহ লেক, ব্রীজ, কনটোর্স, আইসল্যাণ্ড, ওয়াচ ওয়ে, চালকদের আবাসন, শিশু পরিবার ও ডরমেটরি, ২তলা বিশিষ্ট স্কুল, টেনিস কাম বাস্কেটবল কোর্ট, প্লে গ্রাউণ্ড, লেজার শো ওয়াটার শিল্ড।
আর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে হলে নতুন ৫৬.০৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে। সবমিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্রটি ১২৭ একরে রুপ নেবে। জমি অধিগ্রহণসহ নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দ ধরা হয়েছে প্রায় ৪১০ কোটি টাকা। প্রয়োজনে প্রকল্পের অর্থের বাড়ানো হবে এমনটা জানা গেছে।
প্রায় দুই যুগ আগে ৭২ একর জমি অধিগ্রহণ করে প্রায় তিনশ কোটি টাকা ব্যয়ে বৈদ্যনাথতলায় নির্মাণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র। তবে নির্মিত বেশ কিছু স্থাপনায় ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। প্রকল্পের মধ্যে ৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর ভিত্তিক বাংলাদেশ মানচিত্র নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি। মানচিত্রে পুরো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন চিত্র ফুটে উঠলেও মুজিবনগরের শপথ নেওয়ার কোন চিত্র সেখানে স্থান পায়নি। গার্ড অব অনারের ভাস্কর্যে ১২ জন আনসার সদস্যর বিপরীতে দেখানো হয়েছে ৮ জনকে। মানচিত্রে সেক্টর ভিত্তিক কমাণ্ডারদের ভাস্কর্যও নেই।
মানচিত্রের বাইরে নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ভাস্কর্যসহ অন্যান্য ভাস্কর্যগুলো এতটাই নিম্ম মানের যা মাঝে মধ্যেই ভেঙ্গে পড়ে। অনেকগুলোর ভেতরের রডের বদলে চিকন তার দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে শিলাবৃষ্টি বা ঝড় হলে সেগুলো ভেঙে যায়। কয়েকদফা সেগুলো পুনরায় রিপিয়ারিং করাও হয়েছে। এছাড়া প্রতিবছর ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসকে ঘিরে রিপিয়ারিংসহ পালিশ করে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হয়।
আন্তর্জাতিক মানের করে ১৭ এপ্রিল ১৯৭১ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান, ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহের স্মৃতি, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা সমৃদ্ধ তথ্য ও নিদর্শন দেশবাসী ও তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এবং বিদেশীদের কাছে মূর্ত করে তুলতে শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে স্মৃতিকেন্দ্র নির্মান করা হয়েছে । অথচ উদ্বোধনের আগেই নষ্ট হয়ে যাওয়াতে পর্যটকরা আহত হচ্ছেন।
মেহেরপুর গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে কাজ শুরু করে মাঝে প্রকল্প কাটাছেড়া করা হয়। ফলে কাজটি শেষ হয় ২০১১ সালে। অতিনিম্নমানের কাজ হবার কারণেই ভাষ্কর্যগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। প্রকল্পর অন্যান্য কাজ এখনও অসমাপ্ত আছে।
আমবাগান পরিচর্যার জন্য অপেক্ষা
ঐতিহাসিক আম্রকাননে বর্তমানে ১১০৭টি গাছ বেঁচে রয়েছে। পরিচর্যার অভাবে ইতোমধ্যে শতাধিক গাছ মারা গিয়েছে। ফলে বাগানটি ক্রমশই শ্রীহীন হয়ে উঠছে। জীবিত ১১০৭টি গাছের পরিচর্যার জন্য মেহেরপুর হর্টিকালচার সেন্টার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে ৮০ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে একটি প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে কৃষি মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক খান মুজিবনগর পরিদর্শনে গিয়ে ওই প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন। একটি গাছকে পাইলট হিসেবে ধরা হয়েছে। ফলাফল আসলে পুরো প্রকল্পটি শুরু হবে।
স্বাধীনতা সড়ক
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদিতে ভারতের কলকাতা থেকে যে মেঠোপথ ধরে জাতীয় চার নেতাসহ দেশ-বিদেশের সাংবাদিকরা এসেছিলেন সেই মেঠপথটিকে স্বাধীনতার অর্ধশত বছর উৎযাপন উপলক্ষে বর্তমান সরকার ‘স্বাধীনতা সড়ক’ নামে নামকরণ করেছেন। ওই মেঠপথটির বাংলাদেশের অংশ ৫০০ মিটার সড়ক ১ কোটি ৪ লাখ টাকা ব্যায়ে ইতিমধ্যে পাকাও করা হয়ে গেছে। ২০২১ সালের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে এ সড়কের উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী।
দুই যুগ আগে স্থাপিত মুজিবনগর কমপ্লেক্সে বর্তমানে যা আছে:
১১টি মন্ত্রনালয়ের প্রায় ৩’শ কোটি টাকা বরাদ্দে গড়ে উঠেছে মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র । এর মধ্যে পর্যটক মোটেল, শপিংমল, শিশু পরিবার, ডাকঘর, হেলিপ্যাড, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, ছয় দফা ভিত্তিক মনোরম গোলাপ বাগান, অত্যাধুনিক মসজিদ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাদুঘর। এখন পর্যন্ত এসব কোন স্থাপনাই আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়নি। অথচ প্রকল্পের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ধাপের কাজ শেষ হয়েছে অন্তত ১০ বছর আগে। সবশেষে সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে বড় মিলনায়তন নির্মাণের কাজও শেষ হয়েছে।
তবে এখনো প্রশাসনিক প্লাজা, অ্যাপ্রোচ রোড, বিদ্যুৎ, জেনারেটর ক্রয় (১০০-কেভিএ), মানচিত্রে স্টেজে কাঠের কাজ, সিঁড়িতে এসএস রেলিং, জলছাদ র্যাম্প ও এসপিএমসিবি পাওয়ার সকেট, আন্ডার গ্রাউন্ড সার্ভিস লাইন কাজ আজও শেষ হয়নি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপটেন (অব) আব্দুল মালেক বলেন, ১৭ এপ্রিল আমাদের গৌরবের, অহংকারের। দিবসটিতে শুধু মুজিবনগর উপজেলায় ছুটি ঘোষনা নয়, জাতীয় শপথ দিবস করে দিনটি সরকারি ছুটি ঘোষনা করার দাবী জানাচ্ছি।
মেহেরপুরের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু রাম পাল বলেন, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে যাদুঘর সংস্কার, রাস্তা সংস্কার, রঙ করা সহ কমেপ্লক্স চত্ত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্নসহ প্রায় ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ ধরে সংস্কার কাজ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, সর্বশেষ যে প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে তা কোন অবস্থায় আছে আমার জানা নেই। এটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিষয়। তবে মুজিবনগর দিবসকে ঘিরে জেলা প্রশাসন সকল ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আবু বাকের তৌহিদ বলেন, মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পটি প্লানিং কমিশনে পাঠানো হয়েছিলো । সেখানে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা হয়েছে। সভা থেকে কিছু সংশোধনী দেওয়া হয়েছে। সংশোধন করে আবার প্লানিং কমিশনে পাঠানোর প্রক্রিয়ায় রয়েছে।
যেভাবে ১৭ এপ্রিল:
অনেক জীবন এবং এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল তার আসল বাস্তবতা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ বাঙালী জাতির আন্দোলনের কারণ সম্পর্কে সেই ১৮৮৫ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত অনেক ঘটনায় উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশীদের স্বপ্ন চূড়ান্তভাবে বাস্তবায়িত হয়েছিল ১৯৭১ সালে ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর আম বাগানে। যেখানে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নিয়েছিল। সেখানে সেই মহতী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেছিলেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক এবং বিশিষ্ট বাজনীতিবিদগণ। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র নামে একটি রেডিও সেন্টার স্থাপন করে প্রথম সরকারের শপথ অনুষ্ঠান সারাদেশে সম্প্রচার করা হয়েছিল এবং মুজিবনগর সেদিন পেয়েছিল ঐতিহাসিক মর্যাদা।
১০ এপ্রিল ১৯৭১ এক ঘোষনার মাধ্যমে গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়েছিল যা মুজিবনগর থেকে ইস্যু করা হয়েছিল । এখানে উল্লেখ্য এই ঘোষনা বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পূর্বের ঘোষনাকে দৃড়ীকরন করে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের প্রথম প্রবাসী সরকারের রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তাজউদ্দীন আহমেদ।
সে সময় পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী মেহেরপুরকে করতলে নিলেও পৌঁছুতে পারেনি বৈদ্যনাথতলায়। তদানীন্তন মেহেরপুর মহাকুমার বাগোয়ান ইউনিয়নের নিভৃত পল্লী বৈদ্যনাথতলা। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সমস্ত সময়টুকু এ জায়গাটি ছিল নির্বিঘ্ন। বি্িরটশ শাসনামলে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার অন্তর্গত মেহেরপুর ছিল মহাকুমা শহর । সে সুবাদে কলকাতার সাথে এই বৈদ্যনাথতলার সরাসরি সড়ক যোগাযোগের ব্যাবস্থা ছিল। সরকার গঠনের পর মুজিবনগরকে অন্তর্র্বতীকলিন রাজধানী ঘোষনা করা হয়েছিল। পাশাপাশি স্বাধীতার ফরমান জারি করে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করা হয়েছিল। ওই সময় ও শপথ গ্রহণের স্থানকে চিরস্মরণীয় করে রাখতে বৈদ্যনাথতলা নাম পরিবর্তন করে নাম রাখা হয় মুজিবনগর। তখন থেকে ১৭ এপ্রিলকে বলা হয় মুজিবনগর দিবস। এবং সেই থেকেই এই দিনটি মুজিবনগর দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। মুজিবনগর সরকার দেশকে ৬টি জোনাল কাউন্সিলে ভাগ করেছিল যা জনগনের সমস্যার দেখভাল করত। সে সময় মুজিবনগর হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশের প্রেরণার উৎস এবং জাতির ভাবমূর্তি অক্ষ্ন্নু রাখতে যথাসম্ভব যাকিছু করার ছিল তাই করেছিল। মুজিবনগরে বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠন আমাদের মুক্তি সংগ্রামে এবং ইতিহাসে এক মাইল ফলক। যা বিশ্বকে সাহায্য করেছিল আমাদের মুক্তিয্দ্ধুকে সমর্থন করতে। পরবর্তীতে ৯মাস যুদ্ধ শেষে চুড়ান্তভাবে স্বীকৃত পেয়েছিল একটি নতুন স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে।
আজকের কর্মসূচী
সকাল ৯টায় মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, গার্ড অব অনার প্রদান। সকাল ১০টায় শেখ হাসিনা মঞ্চে জাতীয় ও স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবে। পরে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে শেখ হাসিনা মঞ্চে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ। অতিথি হিসেবে থাকবেন উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেনসহ আশেপাশের জেলার সংসদ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন বলে জেলা প্রশাসন থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।