পান থেকে চুন খসলেই শিল্পীর উপর নেমে আসতো অমানুষিক নির্যাতন। শারীরিক নির্যাতনই শুধু নয়, দেওয়া হতো সিগারেটের আগুনের ছেঁকা।
দুই সন্তানের জননী শিল্পী রানীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিড়ির আগুনের ছেঁকা দিয়েছে তার স্বামী শষি ঠাকুর। আর এসব নির্যাতনের মধ্যেই রাত ৯ টার দিকে তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হলো শিল্পীর ঝুলন্ত মরাদেহ।
এটা আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিতভাবে হ্ত্যা করে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে বুঝতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। ঘটনাটি মজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামে ঘটেছে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯ টার দিকে। নিহত শিল্পী রানীর মরদেহ উদ্ধার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) বাবলু মন্ডল জানান, মাঝে মধ্যে শিল্পী ও তার স্বামী শষী ঠাকুরের মধ্যে ঝগড়াঝাটি নিয়ে শিল্পীকে মারধর করতো। আজ বিকালের দিকে তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি হয়েছে। এ কারনে শিল্পী রানী রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যা করতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেশীরা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের শিল্পীর সাথে বল্লভপুর গ্রামের দয়াল ঠাকুরের ছেলে শষী ঠাকুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে শিল্পীর উপর অমানুষিক নির্যাতন করতো শষী ঠাকুর। মাঝে মধ্যে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা দিয়ে আসছে সে।
শিল্পীর দুটি ছেলে মেয়ের কারণে নিরবে সেসব সহ্য করে সংসার করছিল সে।আজকে তাকে মৃত্যুর পথেই যেতে হলো। নিহত শিল্পীর ভাসুর স্থানীয় বল্লভপুর মিশন হাইস্কুলের শিক্ষক দেবাশীষ জানান, ঘরের আড়ার সাথে গলাই রশি পেছিয়ে ঝুলতে দেখে আমরা পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মুজিবনগর হাসপাতালে নিই। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃতু ঘোষণা করেন।
মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, আমরা মুজিবনগর হাসপাতাল থেকে শিল্পীর মরদেহ উদ্ধার করেছি। এখন পারিপার্শিকভাবেও খোঁজ খবর নিচ্ছি। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা এখনো সেভাবে বলা যাবেনা।