মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বিদ্যাধরপুর গ্রামে তৌহিদ নামের এক যুককের উপর হামলা চালিয়ে তার পা ভেঙে দিয়েছে সাজিদ আহসান সাজু নামের এক সেনাসদস্য।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে সেনাসদস্যসহ তার পরিবারের চারচজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার পরপরই তিনি ছুটি শেষ হওয়ার আগেই কাজে যোগ দিয়েছেন নিজেকে নির্দোষ প্রমানের চেষ্টা করছেন। তবে তার মোবাইল ট্র্যাক করলেই সত্যতা পাওয়া যাবে বলে অভিযোগকারীরা দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে, বিষয়টি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে প্রাণ নাশের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে তৌহিদের পরিবারকে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা একটি জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন। সেই জমিতে নতুন করে তারের বেড়া নির্মাণ করতে গেলে প্রতিবেশী লুৎফর রহমানের ছেলে মোঃ আব্দুল কুদ্দুস (৫৫), মোস্তাক হোসেন, মোস্তাক হোসেনের ছেলে সেনাসদস্য সাজিদ আহসান সাজু (৩০), মোঃ রাজু (৩৫), মোঃ রাকিব (২৫)।
অভিযোগ অনুযায়ী, ১ মার্চ সকাল ৮টার দিকে মোছাঃ মেরিনা খাতুনের স্বামী মোঃ আফজালুল হক স্থানীয় দুই শ্রমিকের সাহায্যে তারের বেড়া বাঁধার কাজ শুরু করেন। তখন ১ নম্বর আসামি আব্দুল কুদ্দুস এসে কাজে বাধা দেন ও গালিগালাজ করেন। পরে ২ মার্চ সকাল ৭টার দিকে পুনরায় বেড়া বাঁধার কাজ শুরু হলে আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে এসে বেড়া ভেঙে ফেলেন এবং প্রায় ১৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেন।
এ সময় তৌহিদ ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় সেনা সদস্য সাজু লোহার শাবল দিয়ে তৌহিদের বাম পায়ে আঘাত করে, যার ফলে তার হাড় ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মুজিবনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল রেফার্ড করে। পরে তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তৌহিদের মা মেরিনা খাতুন জানান, আসামিরা এলাকায় প্রভাবশালী এবং বিভিন্নভাবে তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
তবে, অভিযুক্ত সেনাসদস্য সাজিদ আহসানের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মুজিবনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সেনাসদস্যর বিষয়ে সেনানিবাসে চিঠি পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।