ময়নাতদন্ত শেষে সেই শিল্পী রানীর মরদেহ তার স্বামী শশী ঠাকুরের কাছে হস্তান্তর করেছেন মুজিবনগর থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলের দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গ থেকে শিল্পীর স্বামী শশী ঠাকুর তার মরদেহ গ্রহণ করেন।
মরদেহ গ্রহণ করার পরপরই বল্লভপুর শ্বসানে তার সৎকারকার্য সম্পাদন করা হয়েছে। এসময় শিল্পীর পিতার পরিবারের লোকজনও উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছেন, বাগোয়ান ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য বাবলু মন্ডল।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সারাদিনে কয়েক দফা শিল্পীর উপর নির্যাতন ও মারপিট করেছেন তার স্বামী শশী ঠাকুর। সন্ধ্যার পরপরই তার ঘরের আড়া থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে মুজিবনগর হাসপাতালে নেন। হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু ঘোষণা করেন।
প্রায় ১০ বছর পূর্বে ঝিনেদার কালীগঞ্জের মেয়ে শিল্পীর সাথে বিয়ে হয় বল্লভপুর গ্রামের শশী ঠাকুরের। বিয়ের পর তাদের দুটি সন্তান হয়েছে। শিল্পীকে কথায় কথায় নির্যাতন ও অত্যাচার করতো তার স্বামী। তার শরীরে বিভিন্ন সময়ে সিগারেটের আগুনের ছ্যাঁকা দিতো। শিল্পীর শরীরে বেশকিছু আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
শিল্পী আত্মহত্যা করেছে, নাকি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
তবে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, শিল্পীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোন কিছু বলা যাবে না। মুজিবনগর থানায় একটি অপমৃত্যু হয়েছে।