মুজিবনগরে অপহরণ করে মুক্তিপন বাবদ চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ১ মাস পর আরো ৬ জন আসামীকে গ্রেফতার মুজিবনগর থানা পুলিশ।
গত শনিবার রাতে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার রাফিউল আলম এর সার্বিক তত্বাবধায়নে মুজিবনগর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা এবং জেলা সাইবার ক্রাইম ইউনিট এর সমন্বয়ে গঠিত টিম তাদেরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলেন, মেহেরপুর জেলার টুঙ্গী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মাদার আলী (৫০), আবুল হোসেনের ছেলে তারিকুল ইসলাম (৩৭), সোনাপুর মাদ্রাসা পাড়ার নূর ইসলামের ছেলে ফিরোজ (২৫), সোনাপুর মন্ডলপাড়ার মৃত ওয়াদ আলী মেম্বারের ছেলে মইনুল হোসেন (৪০), শরিফ উদ্দিনের ছেলে রুয়েল (২৫) ও সোনাপুর মালিথাপাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে বাপ্পি হোসেন (২৬)। গ্রেফতারের পর রবিবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যেমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ইং ০১/০৪/২২ তারিখ রাত্রী আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় মুজিবনগর থানাধীন গোপালপুর গ্রামস্ত হাতিরখাল নামক স্থানো নিজের মাঠের জমিতে স্যালো মেশিন দিয়ে সেচ দেওয়ার সময় কয়েকজন লোক চাঁদা নেয়ার উদ্যেশে গোপালপুর গ্রামের শাহাবদ্দীন শেখের ছেলে আঃ মালেক ও তার ভাই শফিকুল ইসলামকে অপহরন করে।
অপহরনের কয়েকঘন্টার মাথায় তাদের উদ্ধার করা হলে আঃ মালেক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন আসামী করে একটি অপহরন মামলা দায়ের করে। যার মামলা নম্বর-০২, তারিখ-০৫/০৪/২০২২ ইং, ধারা-৩৬৫/৩৮৫/৩৮৬ পেনাল কোড।
পরবর্তিতে মুজিবনগর থানা পুলিশ মামলাটা আমলে নিয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শরিফুল ইসলাম মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলমের সার্বিক তত্বাবধানে এবং নির্দেশনায় মুজিবনগর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা শাখা মেহেরপুর এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিট মেহেরপুর এর সমন্বয়ে গঠিত টিম নিয়ে মামলার তদন্ত শুরু করেন।
মাস খানেক তদন্ত শেষে বিভিন্ন তথ্য প্রমান সংগ্রহ করে গত কয়েক দিন আগে ঘটনার সহিত জড়িত ৩ জন আসামীকে গ্রেফতার করেন। গত শনিবার রাতে একই মামলার আরো ৬ জন আসামী গ্রেফতার হলো।
মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল জানান, আসামীরা নিজে ঘটনার সহিত জড়িত থাকার বিষয়টি স্বেচ্ছায় বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন এবং আসামীরা ঘটনার সহিত জড়িত সকল সহযোগী আসামীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদি প্রদান করে।
আসামীদ্বয়ের প্রদত্ত তথ্যাদি সতর্কভাবে যাচাই বাছাই সহ ঘটনার সহিত জড়িত অন্যান্য পলাতক সহযোগী আসামীদের মধ্যে আরো ৬ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যেমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।