মেহেরপুরের মুজিবনগরে রতনপুর পুলিশ ক্যাম্পে ডিউটিরত অবস্থায় নিজের রাইফেল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করা সেই পুলিশ সদস্যের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (২১ জুলাই) বাদ আছর কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে তার নামাজে জানাজা শেষে কবুরাট পারিবারিক গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে বুধবার ভোর রাতে মেহেরপুরের মুজিবনগরে রতনপুর পুলিশ ক্যাম্পে ডিউটিরত অবস্থায় নিজের রাইফেল দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন কনস্টেবল সাইফুল ইসলাম। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। তার স্ত্রীও পুলিশ সদস্য।
নিহতের চাচা লিটন হোসেন জানান, চলতি বছরের প্রথমদিকে সাইফুল নারী পুলিশ সদস্য ফরিদা খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ে করার সময় বেশ টাকা খরচ হয়। এর মাঝে তিনি জমিও ক্রয় করেন। সঞ্চিত সব টাকা খরচের পর থেকে সাইফুল মানসিক চাপের মধ্যে ছিল। সম্প্রতি তিনি সবসময় উদভ্রান্তের মতো চলাফেরা ও কথাবার্তা বলতেন। এই কারণে তাকে ডাক্তারও দেখানো হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী ফরিদা খাতুন জানান, তিনি পুলিশ সদস্য হিসেবে মুজিবনগর থানায় কর্মরত আছেন। তার স্বামী সাইফুল মঙ্গলবার রাতে ফোন দিয়ে আর্থিক সংকট নিয়ে হতাশাপূর্ণ কথাবার্তা বললে তিনি শান্ত্বনা দেন এবং দুশ্চিন্তা করতে নিষেধ করেন।
পরে বুধবার ভোরে রতনপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে তাকে ফোন দিয়ে দ্রুত যেতে বললে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি স্বামী সাইফুলকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। ঈদের পর তাদের একই জায়গায় পোস্টিং হবার কথা ছিল বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, মুজিবনগরের রতনপুর পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশ সদস্য নিজ অস্ত্র দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করে। আছরের নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।