মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামের চাঞ্চল্যকর আলমগীর হোসেন (আলম) হত্যা মামলার সন্দেহভাজন বাদিসহ চারজনকে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
দীর্ঘ তিন মাস ধরে হত্যা মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তারানগর গ্রামের সেকের শেখ এর ছেলে হামিদুল শেখ (৩১),শাহবুদ্দীন মন্ডলের মেয়ে এবং আলমগীর হোসেন( আলম) এর স্ত্রী ও আলম হত্যা মামলার বাদি বেদেনা খাতুন(৩৭), আব্দুর রহমান এর ছেলে মিন্টু ধুলো পেটু (৪০) এবং আলম এর শাশুড়ি শাহবুদ্দীন এর স্ত্রী শাহিনুর বেগম (৫৫)। বুধবার দিবাগত রাত্রে তাদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।
মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, তিন মাস ধরে মামলাটি নিয়ে পুলিশ গভীরভাবে তদন্ত করে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আটককৃতদের সম্পৃক্ততা খুঁজে পাই বুধবার দিবাগত রাতে তাদেরকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা বাদে তারা পরস্পর যোগসাজসে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করতে ইচ্ছা প্রকাশ করে।
বৃহস্পতিবার সকালে তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়। বিজ্ঞ আদালতে ৩ জন ১৬৪ ধারায় হত্যার সাথে সম্পৃক্ততার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। এসময় তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৯ আগষ্ট দিবাগত রাত্রে মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের তারানগর গ্রামের আগবত আলীর মেজ ছেলে আলমগীর হোসেন আলম (৪৪) কে নিজ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
১০ই আগষ্ট হত্যার শিকার আলমের স্ত্রী মুজিবনগর থানায় ৩০২/৩৪( বাংলাদেশ পেনাল কোডে) ধারায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করে যার মামলা নম্বর -২।