মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের তারানগর গ্রামের আলমগীর হোসেন আলম (৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
নিহত ব্যক্তি তারানগর গ্রামের আগবত আলীর মেজ ছেলে।
সূত্র মারাফাতে জানা গেছে, মৃত আলমগীর হোসেন আলম তার স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে গতকাল শুক্রবার (০৯ আগস্ট) রাত অনুমানিক সাড়ে ৮ দিকে রাতের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তার স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে নিজ ঘরে এবং আলমগীর পাশের ঘরে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত অনুমানিক সাড়ে ১২ টার দিকে তার বড় মেয়ে শুকতারা খাতুন (১৮) প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে মৃতের স্ত্রী বেদেনা খাতুন (৩৫ )এর সঙ্গে ঘরের বাইরে যেতে চাইলে তাদের রুমের ছিটকানী বাইরে থেকে আটকানো বুঝতে পেরে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকা মৃত আলমগীরের বড় মেয়ে একাধিক বার জোরে জোরে ডাকতে থাকে। ডাকাডাকির এক পর্যায়ে সাড়া না পেয়ে মৃতের স্ত্রী বেদেনা খাতুন একই গ্রামে পূর্বপাড়ায় তার শশুর আগবত আলীকে ফোন দিয়ে তাদের রুমের দরজার বাইরে থেকে আলমগীরকে ডেকে সাড়া না দেওয়ার বিষয়টি জানায়। তাৎক্ষনিকভাবে মৃতের বাবা ও মা আকলিমা খাতুন(৬২) ছেলে আলমগীরের বাড়িতে এসে ছেলের ঘরে গিয়ে ছেলে আলমগীরের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার করতে থাকে। অতঃপর তারা তাদের পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনী শুকতারা (১৮),ইকরামুল (১২) ও ইয়াসমিন(৭)দের রুমের দরজা বাইরে থেকে আটকানো দেখে খুলে দেয়।
শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শেষে লাশ হেফাজতে নেয় বর্তমানে লাশ মুজিবনগর থানায় হেফাজতে আছে।
মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্য (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থানে গিয়ে লাশ হেফাজতে নেই। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে যে,পূর্ব শত্রুতার জের ধরে অজ্ঞাতনামা খুনি/খুনিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটতে পারে। তবে কি কারনে এই হত্যাকান্ড এখনি বলা যাচ্ছে না তদন্ত করার পরে জানা যাবে প্রকৃত কারন। লাশ ময়ন্তাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।