চিকিৎসার জন্য মুজিবনগরের সীমান্তবর্তী সোনাপুর গ্রাম থেকে আসেন আসাদুল ইসলাম। তার পছন্দের চিকিৎসক মাহমুদুর রহমান শিমুল রোগ নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। নির্দিষ্ট পরীক্ষাগুলো করিয়ে রিপোর্ট দেখাতে আসলে, শিমুল পরিচালিত ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড ক্লিনিকের রিসেপশনে জানানো হয় যে, তাদের পছন্দ করা ল্যাবে পরীক্ষা না করালে রিপোর্ট গ্রহণ করা হবে না।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ল্যাব মালিক ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজারে অবস্থিত ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাংবাদিক জাহিদ ও সাবিত তুহিন সেখানে উপস্থিত হন। ল্যাব মালিক ও রোগীর স্বজনদের সাথে কথা বলার সময় ভিডিও ধারণ করতে গেলে ল্যাব কর্তৃপক্ষের কয়েকজন এবং ডাক্তার শিমুলের শ্বশুর-শাশুড়ি মিলে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
এছাড়া, পাশের দুটি ল্যাব পপুলার এবং কেয়ার ল্যাবের মালিকরা অভিযোগ করেছেন, ডাক্তার শিমুল ও তার স্ত্রী ডা. সাদিয়া আফরিন সোমা তাদের ল্যাবের রিপোর্টকে গ্রহণযোগ্য মনে করেন না।
এ বিষয়ে ডা. মাহমুদুর রহমান শিমুল বলেন, মুজিবনগরে অনেক ল্যাবে বৈধ প্যাথলজিস্ট নেই, যার কারণে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে সেসব ল্যাবের রিপোর্টকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করেন না। তবে সাংবাদিকদের সাথে কোনো ধরনের অসদাচরণের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, মাহমুদুর রহমান শিমুল ও সাদিয়া আফরিন সোমা দম্পতির মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে ডক্টরস ল্যাব অ্যান্ড ক্লিনিক, মুজিবনগর। বর্তমানে তারা দুজনই কর্মরত আছেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর সদর হাসপাতালে।