অবশেষে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দখল মুক্ত হয়েছে স্বরসতি খাল। গত বুধবার(৯ সেপ্টেম্বর) দখলের সাথে জড়িদের মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে শোকজ করা হয়েছিল। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার খাল দখলে জড়িতদের সাবধান করে দেন। সেই সাথে সোনাপুর মাঝ পাড়া স্বরসতি খালে জন সাধারণের ব্যবহারে বা মাছ শিকারে কোন ধরণের বাঁধা দিতে নিষেধ করেণ। ভবিষ্যতে কোন প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে স্বরসতি খাল ইজারা বা দখল না করার মুচলেকা দিয়ে মুক্তিপান জড়িতরা।
উল্লেখ্য, মুজিবনগরের সোনাপুর মাঝ পাড়া দিয়ে প্রবাহিত প্রায় ২ কিলোমিটার স্বরসতি খাল স্থানীয় একটি মসজিদেও নাম ভাঙিয়ে শাহিন নামের এক মাছ ব্যবসায়ীর কাছে ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকাই ইজারা দেয় স্থানীয় মাতবররা। সোনাপুর মাঝপাড়ার নিয়াজ উদ্দিন একই গ্রামের ওমর আলী সহ বেশ কয়েকজন এই অবৈধ ইজারার সাথে জড়িত ছিল।
এ নিয়ে গত ১৭ আগষ্ট দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকায়“মুজিবনগরে স্বরসতি খালে অলিখিত লিজ, সরকারি খাল ইজারা দিলেন মাতবররা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেন মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন। পরে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার স্বরসতি খালটি জনগনের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন সরকার জানান, আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছিলাম সরকারি স্বরসতি খালের কিছু অংশ ইজারা দিয়েছে। এ নিয়ে গত বুধবার ইজারার সাথে জড়িতদের নিয়ে সালিশ হয়। ভবিষ্যতে এই ধরণের কাজ করবে না বলে জানান আমাদের।
মেপ্র/এমএফআর