মুজিবনগরে মাসুদ রানা (২১) নামের এক যু্বকের সাথে দির্ঘ ২ বছর প্রেম করার পর বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অনশন করেছে হাবিবা খাতুন (১৬) নামের এক কিশোরী।
রবিবার সকাল ৯ টার পর থেকে তার বাড়িতে দিনভর বসে আছে বলে জানিয়েছে হাবিবা খাতুন।
প্রেমিক মাসুদ রানা মুজিবনগর উপজেলার সোনারপুর মাঝপাড়া গ্রামের ইকতার হোসেনের ছেলে এবং প্রেমিকা হাবিবা খাতুন একই উপজেলার দারিয়াপুর গ্রামের মৃত হাবিব এর মেয়ে।
প্রথমত অবস্থায় বিয়ে দেয়ার কথা বলে ঘরে তুলে নিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আবারো বাইরে বের করে দিয়েছে ছেলে ও তার পরিবার।
এদিকে হাবিবা খাতুন তার বাড়িতে অনশন করার পর থেকে মাসুদ রানা বিয়ে না করার কথা বলে গা ঢাকা দিয়েছে ।
আরো পড়ুন: মেহেরপুরে তাঁতী লীগ নেতা পাভেলের আত্মহত্যা !
হাবিবা খাতুন জানান, দির্ঘ ২ বছর যাবত মাসুদ রানা ও আমি একে অপরকে ভালোবেসে আসছে। রিলেশন চলাকালিন সময়ে মাসুদে আমাকে তার স্ত্রী পরিচয়ে বিভিন্ন বন্ধুর বাড়িতে, সিনেমা হলে ও পার্কে নিয়ে গেছে।
এছাড়া আমার মায়ের কাছো আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার পরিবারের কাছ থেকে সমস্যার কথা বলে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়ে এসেছে। কিন্তু কিছুদিন আগে কোন এক কারনে ঝামেলার কারনে টাকার বিষয়টি লিখিত করে মিমাংসা করা হয়।
আমি মাসুদকে বার বার বিয়ের কথা বললে মাসুদ আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছি যে সে আমাকে ছাড়াও অন্য মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করে। তাই আমি তাকে বিয়ে করার জন্য আজ সকালে তার বাড়িতে অবস্থান করেছি।
হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে হাবিবা বলেন, আমি যখন তার বাড়িতে অবস্থান করি। প্রথমত অবস্থায় তারা মেনে নিয়ে আমাকে ঘরে তুলে নেয় এবং বলে তোমার পরিবারের লোকজনকে খবর দাও আমরা বিয়ে দেবো। তাদের কথামত আমি আমার পরিবারের লোকজনদের ফোন করে এখানে আসতে বলি।
কিন্তু পরবর্তিতে মাসুদ এসে আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এবং বলে তোকে আমার পছন্দ না,আমি তোকে বিয়ে করতে পারবো না।তুই আমাকে এভাবে বিয়ে করে সুখি হতে পারবি না।এই বলে আবার আমাকে ঘর থেকে বাইরে বের করে দিলো। কিন্তু আমি সব কিছু ভুলে তার বাড়ির উঠানে বসে থাকি।
আরো পড়ুন:স্বপ্নে দেখে গাছের বিয়ে দিলেন এক নারী!
কেন সে ছেলের বাসার সামনে বসে আছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, আমার এই মুখ নিয়ে আমি আর বাসায় যেতে পারবো না। আমি যখন তার বাড়ি থেকে চলে এসেছি,তাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত বাড়ি ফিরবো না। শেষ প্রযন্ত যদি তার সাথে আমার বিয়ে না হয় তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো।
মাসুদের চাচা মুক্তার হোসেন বলেন, মাসুদের বাবা বিদেশ আছে। আমি আমার ভাইয়ের সাথে কথা বলেছি। পরবর্তিতে মেয়ে পক্ষের লোকজনদের এখানে আসতে বলেছি। তারা আসলে তাদের সাথে কথা বলে এটার একটা মিমাংসা করে কি করা যায় সে ব্যাবস্থা করা হবে।
ঘটনার বিষয়ে ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন জানান, আমি ঘটনা শোনার পর ছেলের বাসায় এসেছি। এসে মেয়েকে ছেলের বাসার সামনে বসে থাকতে দেখেছি। দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে আমি বসবো। তারপর দুপক্ষের মতক্রমে তাদের দুজনের বিয়ে দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
-শাকিল রেজা, মুজিবনগর