মুজিবনগরে ভাবিকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে পাশের বাড়ির ফারুক হোসেন নামের এক দেবরের বিরুদ্ধে।
যে কারণে থানায় একটি ধর্ষণের চেষ্টার মামলাও হয়েছে।
গত ১৯-০৫-২০২১ বুধবার সন্ধ্যারাতে ধর্ষণের চেষ্টা করা হলে শিরিনা খাতুন (ছদ্ম নাম) নিজে বাদি হয়ে ২০-০৫-২০২১ বৃহস্পতিবার সকালে ফারুক হোসেনের নামে একটি ধর্ষণের অভিযোগ করেন। তবে শীলতাহানীর বিষয়টি ছেলে পক্ষের লোকজন ধামাচাপা দিতে চাইলেও মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানীতে বেরিয়ে আসে সঠিক তথ্য। ফারুক হোসেন মুজিবনগর উপজেলার তারানগর গ্রামের বদরউদ্দীন বিশ্বাসের ছেলে। সে ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে লেখাপড়া করে। ও শিরিনা খাতুন ফারুক হোসেনের প্রতিবেশি।
শিরিনা খাতুন ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ফারুকের সাথে আমার কোনদিন কথাও হতো না। সে ঢাকাতে লেখাপড়া করে সে কারণে বাসাতে কম থাকতো। কিন্তু বুধবার সন্ধার পর আমি রান্না করছি এমন সময় হঠাৎ আমাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে। আমি পিছন ঘুরে দেখি ফারুক। পরে আমি যখন তাকে ছেড়ে দিতে বলি তখন সে আমাকে আরও জরিয়ে ধরে অশ্নীল আচারণ করতে থাকে। আমি তখন কোন উপায় না পেয়ে হৈচৈ শুরু করে দিই। হৈচৈ শুরু শুনে আমার জায়ের ছেলে ও আমার মেয়ে ঘর থেকে বিরিয়ে আসে। যখনিই আমার মেয়েরা ঘর থেকে বেরিয়ে আসে তখন সে আমাকে ছেড়ে দিয়ে পালতে চাইলে আমি তার জামা চেপে ধরে থাকলে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় সে বলে তুই আমার কি করবি করে নিস। এই বলে সে আমার কাছে থেকে জোর করে পালিয়ে যায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে আমি বাদি হয়ে তার নামে একটি অভিযোগ করে আসি।
স্থাানীরা জানান, এরকম একটি ঘটনা শুনেছি, তবে নিজের চোখে না দেখে তো কিছু বলা যায় না। ফারুক হোসেন বলেন, সে আমার মায়ের বয়সের। তার সাথে আমি এমনটা কিভাবে করতে পারি। তাছাড়া আমার পরিবারের কাছ থেকে তিনি কিছু টাকা ধার নিয়েছিলো। সেই সুবাদে তার সাথে আমার কথা হয়। বুধবারের দিন সে আমাকে টাকার বিষয়ে কথা বলতে তার বাসায় ডেকেছিলো। আমার টাকার দরকার ছিলো তাই তার কাছে টাকার জন্য গিছিলাম। হয়তো টাকা দিতে জোর করা হত বলে সে আমাকে এরকম একটি খারাপ বদনাম দিয়েছে।
মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ, আব্দুল হাশেম বলেন, মেয়ে বাদি হয়ে ২৬-০৫-২০২১ বুধবার সকালে ফারুক হোসেনের নামে একটি ধর্ষণের চেষ্টার মামলা করেছে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।