মুজিবনগর উপজেলায় নদ নদী ও খাল বিলে পাট জাগ না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা জারিসহ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার বলেন, মুজিবনগর উপজেলার নদ-নদী ও খাল বিল যথাযথভাবে সংরক্ষণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে অনেক স্থানে পুন:খনন করা হয়েছে এবং কয়েকটি স্থানে পুনঃখননের কাজ চলমান আছে। ফলে এসব নদ-নদীতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং একইসাথে অগনিত মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে।
বর্ষা মৌসুমে পুনঃখননকৃত এ সকল নদ-নদী ও খাল বিলে অনেক সময় পাট জাগ দিতে দেখা যায়, যা নদ-নদী ও খাল বিলের পানি মারাত্মকভাবে দূষিত করে। তাছাড়া উন্মুক্ত জলাশয়ে পাট জাগ দেয়ার ফলে অনেক সময় মাটি ভরাট হয়ে থাকে যার ফলস্বরুপ উন্মুক্ত জলাশয় নাব্যতা হারাচ্ছে। এর ফলে অগনিত মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস হয়ে ওঠা এই সব নদ-নদী মাছ আহরণের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
মুজিবনগর উপজেলায় পুনঃখননকৃত নদ-নদী ও খাল যথাযথভাবে সংরক্ষণের জন্য পাট জাগ দেওয়ার বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতি অনুসরণ অথবা নিজ নিজ জমিতে পানি সংরক্ষণ করে জাগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার ।
এরই ধারাবাহিকতায় মুজিবনগর উপজেলার বর্ষা মৌসুমে নদ-নদী ও খাল বিলে পাট জাগ না দেবার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের সহযোগিতায় মাইকিং করা হয়েছে/হচ্ছে এবং বিভিন্ন ফোরামে কৃষকদের এবিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।
সোমবার দারিয়াপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে বিকেলে পাট চাষীদের সাথে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক বৈঠক করা হয় এবং পাট জাগ দেবার বিকল্প পদ্ধতি হিসেবে রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট জাগ দেবার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান খান, মুজিবনগর থানার একটি চৌকস দল, দারিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম রবি, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য গ্রামপুলিশবৃন্দ ও স্থানীয় কৃষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজন সরকার বলেন, বিকল্প পদ্ধতিতে পাট জাগ দেওয়ার বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগণ ও উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তাগণ কৃষকদের সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা প্রদান করবেন।
তিনি আরো বলেন, এই আদেশ অমান্য করে নদিতে পাট জাগ দিয়ে কেউ নদী দূষণ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।