মেহেরপুরের মুজিবনগরে কৃষি জমিতে পুকুর খনন করে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত আভিযান পরিচালনা করেছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মুজিবনগর উপজেলা মহাজনপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত খবির মোল্লার ছেলে কালাম মোল্লা এবং একই গ্রামের মৃত ওয়াছ চেরাগীর ছেলে সাহেব চেরাগী গোপালপুর ভেকলার মাঠে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করে বালি উত্তোলন করছে এমন সংবাদ পেয়ে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার ভূমি নাজমুল আলম অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের কথা জানতে পেরে বালু উত্তোলনের যন্ত্রপাতি নিয়ে পালিয়ে যায় বালু উত্তোলনকারিরা।
এ বিষয়ে গোপালপুর ভেকলার মাঠের পুকুর খনন ও বালু উত্তোলনের কারণে পাশের কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্থ ও ধসে যাওয়ার আশংকায় আশেপাশের জমির মালিকগণ মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটা অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছে।
গোপালপুর ভেকলার মাঠের কৃষক খোকন, শফিকুল, রাতুল, সিরাজ, মজিবার, সাহেব, আলমগীর, পলাশ, জিনা, লাভলু, জানান এমন জায়গায় পুকুর খনন করে বালু উত্তোলন করছে যেখানে গভীর গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে যার ফলে আশেপাশের জমি ধ্বংসের আশংকা দেখা দিয়েছে।
তাদেরকে বার বার নিষেধ করা সত্তেও ক্ষমতার জোরে সে কাজ বন্ধ না করে বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখে। শুনেছি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেখানে গিয়েছিল তার পরেও নিরুপায় হয়ে আমরা মুজিবনগর নির্বাহী অফিসার বরাবর বালু উত্তোলন বন্ধ করে কৃষি জমি বাচাঁতে নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।
বালু উত্তোলনকারি কালাম ও সাহেব অতি চালাক তারা ছুটির দিন শুক্রবার ও শনিবার বালু উত্তোলন করে যাতে ছুটির দিনে ম্যাজিস্ট্রেট আসতে না পারে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাজমুল আলম বলেছেন শুক্রবার শনিবার না, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে যে কোন সময় আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
পরে মুজিবনগর উপজেলা সহকারি(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুল আলম কোমরপুর বাজারের ফিরোজা ফ্যাশান ও রাজ ফ্যাশান কে করোনা কালিন মাস্ক পরিধান না করে দোকানে বেচাকেনা করার অভিযোগে দণ্ড বিধির ২৬৯ ধারায় ১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ সময় মুজিবনগর থানার এস আই আরিফ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কে সহযোগীতা করে।