ওয়াক্তিয়া মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে এলাকার গণ্যমান্য ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় একটি পত্রিকাতে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন এলাকাবাসি।
বুধবার (৯ নভেম্বর) বিকালে মুজিবনগর হাইওয়ে রোডের শিবপুর গ্রাম সংলগ্ন হিড়িগাড়ির মাঠ নামক স্থানে নির্মাণাধীন মসজিদের সামনে আধা ঘন্টাব্যপি এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সাবেক সেনা সদস্য ও মসজিদ নির্মাণ কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম গাজী, মসজিদ কমিটির সহসভাপতি ও ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বজলুর রশিদ গাইন, স্থানীয় সরকারি চাকুরীজীবি আনিসুজ্জামান শুভসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
তারা বলেন, মুজিবনগর বাইপাস সড়কের টেংরামারি ও শিবপুর মাঠের মধ্যে এলাকার সব্জীসহ অন্যান্য ফসল কেনার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন অর্ধশত ট্রাক নিয়ে আসেন। এখানে প্রতিনিয়ত ৪/৫ শ মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। সেদিক বিবেচনা করে স্থানীয় মোনাখালি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফা গাইনের নেতৃত্বে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা হিলিগাড়ির মাঠ নামক স্থানে একটি ওয়াক্তিয়া মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেন। মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগকে সাগত জানিয়ে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ থেকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হাজী গোলাম হোসেন মসজিদের জন্য একটি জমি দান করেন। সেই দানকৃত ও সরকারি খাস জমির উপর এলাকার মানুষজন মিলে মসজিদ নির্মাণ শুরু করেছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের অপর নেতা মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম।
পরে সে স্থানীয় আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফা গাইন, সাকেত সেনা সদস্য হাবিবসহ ৮/১০ জন সম্মানিয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে তাদের মাদক ব্যবসায়ী, ইভটিজিংকারী ও চাঁদাবাজ উল্লেখ করে মিথ্য কল্পকাহিণী লিখে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এবং ১৪৫ ধারা জারি করে মসজিদটির নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পায়তারা করেন। রবিউল ইসলামের সাথে আতাঁত করে স্থানীয় পত্রিকা মাথাভাঙ্গাতে গত ২৯/১০/২০২২ ইং তারিখে একটি মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করার অভিযোগ তুলে এলাকার মানুষজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা মিথ্যা আবেদনকারি রবিউল ইসলাম ও পত্রিকাটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে বলেন, রবিউল ইসলাম একজন দুধর্ষ প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সে ১৯৭১ সালের পর নকশাল তৈরী করে এলাকায় চাঁদাবাজি, লুটতরাজ ও ডাকাতির মত ঘটনা ঘটিয়েছেন। সে একটি ডাকাতি মামলায় আদালত কর্তৃক ৪ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সম্প্রতি সে জেল থেকে জামিনে মুক্ত হয়। তার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের নারীদের যৌণ হয়রানিসহ নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। শুধু এই রবিউল মন্ডলের অত্যাচার ও নির্যাতনের কারনে এলাকার ২২ টি সংখ্যালঘু পরিবার গ্রাম ছেড়ে বল্লভপুর গ্রামে পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
এছাড়া সে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখানোর উদ্যোশ্যে তার আপন বড় ভাই নজরুল মন্ডলের চেয়ে ১ বছর বাড়িয়েছেন। ভোটার তালিকায় দেখা গেছে বড় ভাই নজরুল মন্ডলের জন্ম তারিখ ৫ ডিসেম্বর ১৯৫১ সাল। অথচ মেঝো হয়েও রবিউল ইসলাম তার জন্ম হয়েছে এক বছর আগে। তার জন্ম তারিখ দেওয়া আছে ১ মে ১৯৫০ সাল। নিজে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও এলাকার অনেকের কাছ থেকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর জন্য টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে বিরুদ্ধে। গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় তারা পত্রিকার সংবাদিক ও রবিউল মন্ডলের বিরুদ্ধে তিন জন ব্যক্তি মানহানি মামলা করেছেন বলেও জানান তারা।