২০২১ সালের ১১ই নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয় আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের। দীর্ঘদিন পর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের পক্ষ হতে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম ও সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে সকল বিদ্রোহী প্রার্থীদের।
ক্ষমা ও সাংগঠনিক কার্যক্রমের অনুমতি পেয়েছেন নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মহাজনপুর ইউপির তিন বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু।
এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে এবং আগামী ২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে নৌকায় ভোট চেয়ে কোমরপুর বাজার থেকে শতশত মোটরসাইকেল নিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাটি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম প্রদক্ষিণ করে স্বাধীনতার সূতিকাগার ঐতিহাসিক মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি ।এ সময় আমাম হোসেন মিলুকে দল থেকে পুনরায় সাংগঠনিক কার্যক্রমের অনুমতি প্রদান করায় মোনাখালী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রাম থেকে শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে ৬ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল গাজী ও হায়দার গাজীর নেতৃত্বে আরেকটি শোভাযাত্রা মূল শোভাযাত্রার সাথে মিলিত হয়।
পুষ্প মাল্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলু বলেন, যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনয়ন না দেওয়ায় নৌকার ভরাডুবি হয় মুজিবনগর উপজেলায়। তাই আমার নেত্রী মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা বুঝতে পেরে আমাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। আমার নেত্রীর দূরদর্শিতা এতই প্রকট যে সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মী কে ভালোবাসে এবং স্নেহ করে যারা বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল সকলকে সাধারণ ক্ষমা করেছেন। আগামীতে কারোর মধ্যে ভেদাভেদ না রেখে আমরা সকলে নৌকার কান্ডারীকে একসাথে নিয়ে নৌকার পক্ষে কাজ করবো। তিনি আরো বলেন আমাদের অভিভাবক মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের মতো নেতা পাওয়া আমাদের ভাগ্যের ব্যাপার তাই আগামী ২৪ সালের নির্বাচনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন দোদুল এর হাতকে শক্তিশালী করে নৌকাকে জয় যুক্ত করে জননেত্রী শেখ হাসিনা কে ক্ষমতায় এনে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়বো ইনশাআল্লাহ।
উল্লেখ্য,গণভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭(৬) এবং ৪৭(২) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সাধারণ ক্ষমা প্রেরিত লিখিত আবেদন পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমা প্রদর্শন করে আমাম হোসেন মিলু বিশ্বাস কে চিঠি দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি ।
শোভাযাত্রা ও পুষ্পমাল্য অর্পণের সময় আমাম হোসেন মিলুর সাথে ছিলেন মহাজনপুর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনারুল ইসলাম,হায়দার আলী,মুনসুর আলী, বাশার বিশ্বাস,সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জয়নাল আবেদীন,স্বপন আলী, ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মিঠু, হায়দার গাজী,সাজেদুল গাজী, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইমনসহ আওয়ামী লীগ,যুব লীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীবৃন্দ।