সরকার বিরোধী গোপন বৈঠক চলাকালিন সময়ে সাংগাঠনিক বই পুস্তকসহ জামায়াতের ১০ নারী নেতা কর্মীকে আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেলের নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টার সময় মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের হজরত আলীর বাড়িতে গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।
আটকরা হলেন, নাজিরাকোনা গ্রামের ইলিয়াস হোসেনের স্ত্রেী ডলি খাতুন (৩০), শহিদুল ইসলামের স্ত্রী শাহিদা বেগম (৬০), আঙ্গুর আলীর স্ত্রী সানোয়ারা খাতুন (৩৫), জুলফিকার আলীর স্ত্রী নিলুফা খাতুন (৩৫), মিনারুল ইসলামের স্ত্রী রোকসানা খাতুন (৩২), হজরত আলীর স্ত্রী শেফালী খাতুন (৩৫), মনিরুল ইসলামের স্ত্রী বেদেনা খাতুন (৩৫), রবিউল ইসলামের স্ত্রী তানিয়া খাতুন (২৫), রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রুমিয়া খাতুন (৩০) ও আরিফুল ইসলামের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন (২০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে পবিত্র সীরাতন্নবী (স) উপলক্ষে বাংলাাদেশ জামায়াত ইসলামীর আহবান, দ্বীন ইসলামের ১৫ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিক ধারণা, ইমানের হাকীকত, নামায-রোজার হাকীকত, তাফহীমুল কুরআন, আদর্শ মানব মুহাম্মদ (সা)কুরআন ও হাদীসের আলোকে রাসুল মুহাম্মদ স. দ্বীন প্রতিষ্ঠায় মহিলাদের দায়িত্ব,বিষয় ভিত্তিক কোরআন ও হাদীস, ইসলামী সংগঠন, ইসলামী আন্দোলন, জামায়াত এবং জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, এসো শিবির করি, ইসলামী ছাত্রী সংস্থ্যাসহ ২৩ বিভিন্ন বই জব্দ করা হয়েছে।
মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল বলেন, আটক জামায়াতের নারী নেতা কর্মিরা সরকার সমন্ধে বিদ্বেষ বিতৃষ্ণা ও মিথ্যা রটনা ছড়িয়ে নাশকতকা সৃষ্টিসহ জনগণের মধ্যে আতংক সৃষ্টির মাধ্যমে আইনশংখলার অবনতি করার লক্ষে অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন নারী সরকার বিরোধী সন্ত্রাস ও নাশকতা কার্যকলাপ করার উদ্যেশ্যে পরিকল্পনা ও মিটিং করছিল।
আটকদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯(সংশোধনী) ২০১৩ এর ৬/৭/১০ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় এজাহার নামীয় ১০ জন ও অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আটক নারী নেতা কর্মীদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওসি মেহেদী রাসেল।