মুজিবনগরে গত রবিবার বিকেলে শিবপুর গ্রামের হামাদুল ইসলাম এর ছেলে শহিদুল ইসলামকে কেদারগজ বাজারে মারধর এবং পরবর্তীতে শিবপুর গ্রামে শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ২ আসামি কুদ্দুস শেখ ও তার ছেলে তন্ময় শেখ কে গ্রেফতার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
অভিযোগকারী শহিদুল ইসলামের এজাহার সূত্রে জানা গেছে পূর্ব বিরোধের জের ধরিয়া রবিবার বিকাল ৪ টার সময় ০১নং আসামী ইমান শেখ হাতে লোহার রড নিয়ে আমাকে কেদারগঞ্জ বাজারের ব্রীজের উপর দেখতে পেয়ে অতর্কিতভাবে হামলা করে এলোপাতাড়িভাবে মারতে থাকে। মারপিট দেখে আমার খালোতো ভাই শিবপুর গ্রামের জিনারুল গাজীর ছেলে মোরশেদ আলম (৩০) ঠেকাইতে গেলে ইমান শেখ তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করতে গেলে আঘাতটি তার ডান হাতের কব্জির উপর লেগে গুরুতর হাড়ভাঙ্গা জখম হয়। আমাদের চিৎকারে আমিসহ বাজারের লোকজন আমার খালাতো ভাইকে তার হাত থেকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য মেহেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।
পরবর্তীতে শিবপুর গ্রামের ইমান শেখ (৫৩), পিতা-মৃত আমির শেখ, লাল্টু শেখ ও (রান্টু)(২৭), পিতা-রহিম শেখ (ভরা শেখ), শাহাবুদ্দিন শেখ (৪২), পিতা-আমির শেখ, সিয়াম শেখ(২০), পিতা- শাহাবুদ্দিন শেখ, গিয়াস শেখ (৪০), পিতা-আমির শেখ, কুদ্দুস শেখ(৫৩), পিতা-মৃত খেদের শেখ, তনয়ে শেখ (২১), পিতা- কুদ্দুস শেখ এক জোট হয়ে ।
উক্ত ঘটনার জের ধরে রবিবার সন্ধা ৬ সময় সময় আমার অনুপস্থিতিতে হাতে লোহার রড, বাঁশের লাঠি, কাঠের বাটাম, হাসুয়া নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার বসত বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে আমার পরিবারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমার মা হামিদ্য খাতুন(৫০) আসামীদের নিষেধ করিলে তারা আমার মাকে এলোপাতাড়িভাবে কিল-ঘুষি মেরে নীলা ফোলা জখম করে আসামী লাল্টু শেখ (৫) রান্টু আমার বসত ঘরের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে ওয়্যারড্রপের ড্রয়ার হইতে একটি ১২ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন, যাহার মূল্য অনুমান ৮০,০০০/- টাকা বের করে নেয়। আমার পরিবার চিৎকার করলে আশেপাশের লোকজনদের আসতে দেখে আসামীগণ আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যাওয়ার সময় আমার বসত ঘরের দুইটি জালানার থাই গ্লাস ভেঙ্গে অনুমান ৪০,০০০/- টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এ বিষয়ে মোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম গাইন বলেন ইমান আলি মেহেরপুর জেলা সন্ত্রাসী তালিকার ১১৯ নম্বর। তার এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এই এলাকাকে অস্থিতিশীল করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে জেলায় যে শান্তির সুবাতাস বইছে সেই শান্তিকে যাতে কেউ বিনষ্ট না করতে পারে এবং এই ঘটনা যাতে পরবর্তীতে না ঘটে সেজন্য সন্ত্রাসী ইমান আলীকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে শাহিদুল ইসলাম বলেন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই আক্রমণ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন কেদারগঞ্জ বাজার থেকে ইমান আলী গ্রামে ফিরে তার গুন্ডাবাহিনী নিয়ে রাতের অন্ধকারে বাড়ি ঘরে আক্রমণ করেছে, ঘর থেকে স্বর্ণের অলংকার ছিনিয়ে নিয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে ইমান আলীর সাথে কথা বলে জানা যায় তাকেই প্রথম পরাগ গাইন মারতে শুরু করলে আত্ম রক্ষার্থে তিনিও পাল্টা আক্রমণ করেছেন।
এ বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত বলেন,গত রবিবারের ঘটনায় মামলা পরিপ্রেক্ষিতে ২ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।