২৫ শে ডিসেম্বর খ্রীষ্টান সম্প্রাদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শুভবড়দিন, এ দিন জেরুজালেম এর বেথেলহেমে মা মারিয়ার গর্ভে জন্ম নিয়ে ছিল যীশুখ্রিষ্ট।
বড়দিন উপলক্ষে রংবেরং এর বর্ণিল সাজে সেজেছে মুজিবনগর এলাকার খ্রিষ্টান পল্লীগুলো, বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ দুরদুরান্ত থেক নাড়ির টানে এলাকায় ফিরছে খ্রিষ্টান সম্প্রাদায়ের মানুষ আশেপাশের অন্য সম্প্রাদায়ের মানুষের মাঝেও উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
খ্রিষ্টান পল্লীর পাড়ার মোড়ে মোড়ে যিশু খ্রিষ্ট বেথেলহেমের যে গোয়াল ঘরে জন্ম গ্রহন করেছিল তার আদলে তৈরি করা হয়েছে গোশালা ।২৪ তারিখ শনিবার দিবাগত রাত থেকে শুরু হবে মূল উৎসব। মুজিবনগর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি খ্রিষ্টান সম্প্রাদায়ের লোক বাস করে বল্লভপুর ও ভবেরপাড়া গ্রামে। বড়দিন উপলক্ষে বাগোয়ান ইউপি সদস্য বল্লভপুর গ্রামের মি: বাবুল মল্লিক জানান বড়দিন উপলক্ষে ডীনারির অন্তরর্গত চার্চ গুলোতে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধা ছয়টা থেকে গীর্জায় প্রার্থনা, আনন্দ ফুর্তি, নাচ গান এবং গোশালা গুলো উদ্বোধণ করা হবে এবং ২৬ তারিখে থেকে বল্লভপুর খেলার মাঠে ১শত বছরের ঐতিহ্য ৭দিন ব্যাপি আনন্দ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বড় দিনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন সর্বাত্বক সহযোগীতা করছেন, প্রশাসনের পাশাপাশি চার্চ ও মেলা কমিটিও নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্হা গ্রহন করেছে।
বল্লভপুর প্যারিস ইম্মানূয়েল চার্চের পুরোহিত মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল জানান যীশু খ্রিষ্টের জন্মদিন শুভবড়দিন উপলক্ষে ইম্মানূয়েল চার্চের নিয়ন্ত্রনাধীন চার্চগুলোতে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। গীর্জাগুলো বর্ণীল সাজে সাজানো হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ১১ সময় খ্রিষ্ঠযাগ এর মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে।
বাগোয়ান ইউপি সদস্য ভবের পাড়া গ্রামের সিবাস্তিন মল্লিক জানান বড়দিন উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন সর্বাত্বক সহযোগীতা করছেন এবং খ্রিষ্টান সম্প্রাদায়ের মানুষ সহ সকল ধর্মালম্বীর মানুষ আমাদের সাথে সর্বাত্তক সহযোগীতা করছে।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস বলেন বড়দিন উপলক্ষে সরকারি সহায়তা হিসাবে উপজেলার ১৭টি চার্চ কে ৫ শত কেজি করে ঘরে চাউল দেওয়া হয়েছে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সহিত সকল অনুষ্ঠান স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালন করতে পারে তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি রাসেল জানান বড়দিন উপলক্ষে যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহত করার জন্য তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্হা গ্রহন করা হয়েছে তিনি নিজেও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করছেন।উপজেলার প্রত্যেকটি গীর্জায় সার্বক্ষনিক পোশাক পরিহিত অবস্হায় পুলিশ প্রহরার ব্যবস্হা করা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশের টিম কাজ করে যাবে।প্রতিবারের ন্যায় সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্হ্যবিধি মেনে খ্রিষ্টান সম্প্রাদায়ের মানুষ সতস্ফুর্ত ভাবে নিরাপত্তার মধ্যে যাতে বড়দিনের অনুষ্টান পালন করতে পারে প্রশাসনের পক্ষথেকে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।