মেহেরপুরের মুজিবনগরে বুলুয়ারা(৩৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামি আহসান আলী(৩৫) কে গ্রেপ্তার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানাধীনচর কমরিয়া ইউনিয়নের মোল্লার হাট পেদা মার্কেটের নাজমুলের হোটেলের সামনে হইতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত, আহসান আলী মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর হঠাৎপাড়া এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল আলিম জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত পরিচয় মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর গ্রামের মাঠের একটি গমক্ষেত থেকে লাশ উদ্ধার করে মুজিবনগর পুলিশ। পরে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ প্রচারের পর গাঙ্গে উপজেলার নিশিপুর গ্রামের মৃত রফিকুল ইসলামের স্ত্রী বুলুয়ারা খাতুন (৩৫) লাশ বলে শনাক্ত করে তার আত্মীয়রা।
এ ঘটনায় নিহত ভাই আব্দুল হামিদ মুজিবনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০৮, তারিখঃ ২১-০২-২৩। এরপর থেকেই আসামি আটকের জন্য মাঠে নামে মুজিবনগর থানা ও জেলা ডিবি পুলিশের টিম।
পরবর্তীতে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ঢাকা সহ বিভিন্ন এলাকার উদ্দেশ্যে অভিযানে বের হয়। অভিযান চলাকালে তথ্যগত প্রযুক্তির সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ২৩ ফেব্রুয়ারি তারিখ দুপুর আড়াইটার দিকে মেহেরপুর জেলার ডিবি পুলিশ, মুজিবনগর থানা পুলিশ ও শরিয়তপুর জেলার সখিপুর থানা পুলিশের সহায়তায় সখিপুর থানাধীন চরকমরিয়া ইউনিয়ন এর মোল্লার হাট পেদা মার্কেটে নাজমুলের হোটেলের সামনে থেকে আহসান আলীকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লখ্যঃ বুলুয়ারা খাতুনের স্বামী রফিকুল ইসলাম মারা যাওয়র পর, একটি কন্য সন্তান রেখে দুই বছর পূর্বে মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আহসান আলীর সাথে বিয়ে করে। বিয়ে পর থেকে তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাক। এর কারণ আহসান ছিল মেয়ে লোভি। গত দেড়বছরে আগেও বামন্দী রানা সিনেমা হলের পেছনে জুতারপেটা করেছিলেন বুলুয়ারা। বুলুয়ারা মুত্যুর পর সেই জুতা পেটার ছবি সামাজিক গণমাধ্যম ফেজবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। গত শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি)বুলুয়ারার নিশিপুর গ্রামে তার মেয়ের সাথে দেখা করে দ্বিতীয় স্বামীর বাড়ি পিরাজেপুর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পরে নিখোঁজ হন। গত সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে মহাজনপুর গ্রামের একটি ইটভাটার কাছে গমক্ষেত থেকে অজ্ঞাত নারীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি দল।