মুজিবনগরে থানা নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের সহোযোগীতায় ২ বছরের হারানো সংসার ফিরে পেলেন মহিদুল ও খাদিজা খাতুন।
মহিদুল ইসলাম মুজিবনগর উপজেলার মানিকনগর গ্রামের হাসুর ছেলে ও খাদিজা খাতুন একই উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের মিলাম হোসেনের মেয়ে।
পারিবারিক ভাবে দুপক্ষের মত অনুযায়ী ৭ বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। সংসারে রয়েছে একটি ৫ বছরের মেয়ে সন্তান। শুরুতে চলছিলো খুব ভালোই। বিয়ের কয়েক বছর পর এনজিও থেকে ঋণ নেওয়ার পর পরিশোধ না করাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় তাদের পারিবারিক অশান্তি।
এক পর্যায়ে বছর দুয়েক আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়িও হয়ে যায়। ছাড়াছাড়ি হওয়ার পর বিভিন্ন যায়গায় গিয়েও তাদের বিষয়টি মিমাংসা হয়নি। সর্বশেষে মেয়ের পক্ষ থেকে মীমাংসার জন্য থানায় অভিযোগ করা হয়। মেয়ে পক্ষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাশেমের পরামর্শক্রমে এএসআই উজ্জল বিষয়টি আমলে নেন।
পরে বৃহস্প্রতিবার সকালে তাদের উভয় পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের থানায় ডেকে নিয়ে তাদের সংসারে অশান্তির বিষয়টি শোনেন তিনি। সকল ঘটনা শোনার পর উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে তাদের ভূল বোঝাবুঝিটা ছেলে এবং মেয়ের সামনে তুলে ধরেন।
একপর্যায়ে দুজনই তাদের ভূল বুঝতে পেরে নতুন করে আবারো সংসার করতে আগ্রহ প্রকাশ করলে দুপক্ষের মেম্বরদের সাথে নিয়ে আপোস মীমাংসা করে।
ছেলে ও মেয়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভূল বোঝাবুঝির কারনে আমাদের সংসারে একটা বিচ্ছেদের সৃষ্টি হয়েছিলো। মুজিবনগর নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। একটু দেরিতে হলেও আমরা আমাদের ভূল বুঝতে পেরেছে। আমরা আমাদের সন্তানকে নিয়ে আবারো আগের মত সুখের সংসারে ফিরে আসতে পেরেছি।
মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল হাশেম জানান, একটি সংসারে স্বামি স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো ঝামেলা হতেই পারে। তবে এই ছোট ঝামেলা ভূল বোঝাবুঝির কারনে এক সময় সংসার নষ্ট হয়ে যায়।
একই ভাবে এদের দুজনের সংসারটা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো। এদের একটি বাচ্চা রয়েছে। সংসারটি নষ্ট হয়ে গেলে বাচ্চাটির জীবন অন্ধকারে নেমে আসতো। তাই আমরা চেষ্টা করেছি তাদের আবারো আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে।