এম এফ রুপকঃ
মিয়া মুনসুর আলী ১৯৬৫ সালে মুসলিম লীগের প্রার্থী হিসেবে মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর এলাকার এমএনএ( মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) নির্বাচিত হন। মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন, আনন্দবাস গ্রামের আব্দুল আওয়াল মাষ্টার, মফিজউদ্দিন মেম্বার, এলাহী বকশ, জালাল মল্লিক ও আকছেদ বিশ্বাসের সহযোগীতায় তাদের দান করা জমিতে ১৯৬৭ সালে নির্মান করা হয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
অনুগতদের সহযোগীতায় একটি পরিচালনা পরিষদ গঠন করেন এবং বিদ্যালয়টি নিজ নামে প্রতিষ্ঠিত করেন। নাম দেন আনন্দবাস মিয়া মুনসুর একাডেমী। মিয়া মুনসুর ছিলেন স্বাধীনতা বিরোধী তালিকা ভুক্ত রাজাকার।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম মুছে ফেলতে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে মেহেরপুরের পৌর এলাকার রাজাকার সাবদার আলী নামে রাস্তা ও মার্কেট, তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর রাজাকার আব্দুল মোমেন এর নামে বিদ্যুৎ সরবাহ কেন্দ্রে এসব নাম ফলক সরিয়ে ফেলা হলেও আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে রয়ে গেছে মিয়া মুনসুর আলীর নাম।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবুল হাসান জানান, আমরা নামটি পবিবর্তনের জন্য মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। আশা করছি দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করতে পারবো। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাস বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পর মন্ত্রনালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনো কোন সাড়া পাইনি।
মেপ্র/এ.কে.পি