নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা মামলায় মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার মুজিবনগরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: জাহদুর রহমানের আদালতে জামিন আবেদন করে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের আইনজীবী মিয়াজান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত সোমবার রাতে নৌকার সমর্থকরা আনন্দ মিছিলকে করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়া উদ্দিনবিশ্বাসের বাড়ির সামনে গিয়ে উস্কানিমূলক শ্লোগান দেয়। এসময় উভয় পক্ষের কর্মিদের সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি হলে এতে উভয় পক্ষের ২১ জন কর্মি সমর্থক আহত হয়। পরে মুজিবনগর থানা পুলিশ গিয়ে সেখানা ফাকা ৮ রাউন্ড গুলি ছুড়ে দু-পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক আলতাফ হোসেন বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসকে প্রধান আসামী করে ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার সকালে মুজিবনগর থানা পুলিশ এজাহারনামীয় তিন আসামিকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক জয়পুর গ্রামের চলমান মেম্বার সাকার উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী(৫৫), আনন্দবাস গ্রামের শহীদ বিশ্বাসের ছেলে রানা বিশ্বাস(৪০) ও রুহুল আমিনের ছেলে মামুন(৪০)।