দর্শনা – মুজিবনগর সড়কে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে আনিদুল (১৮) ও রাতুল (১৯) দুই যুবকের সড়কে ঝরে গেল তর তাজা প্রাণ। আহত হয় আরও ৩ জন।
গত রোববার (২০ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে দর্শনা -মুজিবনগর সড়কের চন্ডিপুর গ্রামের বড়মসজিদের কাছে এদূর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন দ্রুত উদ্ধার করে আহতদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের রেফার্ড করেন এবং রাতুল নামে যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি জন্য রেফার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তির পর পরই ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মারা যায়। নিহত রাতুলের লাশ নিজ বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলা চন্ডিপুর মাঝপাড়ায় সকাল ৯ টার দিকে পৌঁছায়। নিহত রাতুলের আজ সোমবার ২১নভেম্বর বাদ জোহর নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে রাতুলের বাবা তরিকুল জানান।
অপর দিকে নিহত আনিদুল হক দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা আবাসন প্রকল্পের ডাব বিক্রেতা আব্দুল আলিমের ছেলে। এদিকে আনিদুলকে আজ সোমবার সকাল ১০ টার সময় কার্পাসডাঙ্গা আবাসন কবরস্থানে নামাজের জানাজা শেষে দাপন করা হয়।
আহতরা হলেন, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের কলেজপাড়ার শহিদুল ইসলামের ছেলে রাহুল (১৯), একই গ্রামের পূর্বপাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৯) ও একই উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামের কাশেম শাহ ছেলে রাজু আহমেদ (২১) তবে রাজুর অবস্থা গুরুতর।
প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে জানা যায়, নিহত আনিদুল ও তার দুই বন্ধু মিলে নিজবাড়ী হতে দর্শনা দিকে রওনা হয়। এমন সময় চন্ডিপুর মসজিদের পাশে জায়গায় আসলে তার বিপরীত থেকে আসে একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেল আরোহী রাস্তার সিটকে পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে আনিদুলকে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। আর দুইজন অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়াতে তাদেরকে রাজশাহীত ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি পর রাতুল মারাযায়।
চুয়াডাঙ্গা জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল কাদের বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই আনিদুলের মৃত্যু হয়।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই যুবক নিহত হয়েছে। আহদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।