বিনয় ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে মুজিববর্ষ উদযাপনের আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান যেন ‘আত্মপ্রচার’র মাধ্যম না হয়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, মুজিব শতবর্ষ নিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করলে সহ্য করা হবে না। এ অনুষ্ঠান নিয়ে কেউ চাঁদাবাজি করবেন না। মুজিববর্ষে কেউ ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না।
শুক্রবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের। এতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মুজিববর্ষে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড করতে নেতাকর্মীদের কোনো বাধা নেই। তবে পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড যেন ‘আত্মপ্রচারের মাধ্যম’ না হয়। পোস্টারে নাম দিতে পারেন। কিন্তু নিজেদের ছবি দেবেন না। বিলবোর্ড, পোস্টারে যাতে কারো ছবি না দেখি। এটা কঠোরভাবে মনিটর করা হবে।
সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের নাম করে কেউ ‘চাঁদাবাজির দোকান’ খুলবেন না। চাঁদাবাজি করে এ অনুষ্ঠান যাতে কেউ না করে। অমুক দোকানদারকে এত টাকা দিতে হবে, অমুক ব্যবসায়ীকে অত টাকা দিতে হবে, অমুক বাড়িওয়ালাকে অত টাকা দিতে হবে- এমন বাড়াবাড়ি কোনো অবস্থায় সহ্য করা হবে না।
বঙ্গবন্ধুর জীবন থেকে বিনয়, ধৈর্য আর ত্যাগের শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষে ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না। আমরা ক্ষমতায় আছি, ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। যতটা সম্ভব বিনয়ী থাকবেন। মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলবেন। অনুরোধ করব, যে কোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠাণ্ডা করে মুজিববর্ষের ভাবগাম্ভীর্য বজায় রাখবেন।
নেতাকর্মীদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের নামে এলাকায় কারও সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করবেন না, যাতে তারা কষ্ট পায়। কোনো প্রকার হয়রানির শিকার যেন কেউ না হয়। এটা খেয়াল রাখতে হবে। প্রতিটি কর্মসূচি সুন্দরভাবে করবেন।
সুত্র-যুগান্তর