তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৩৫০ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। সোমবার (২০ মার্চ) সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে মুশফিকের সেঞ্চুরিতে ওয়ানডেতে দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দেখেশুনে খেলতে থাকে এই দুই ব্যাটার। উদ্বোধনী জুটিতে ৪২ রান সংগ্রহ করে তারা। তবে এরপর রান আউটে কাটা পড়েন অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
৩১ বলে ২৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তামিম। তামিমের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন লিটন। নিজের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৪ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন লিটন দাস।
অর্ধশতক পূরণে পর আগ্রাসী হয়ে ব্যাট করতে থাকেন লিটন। তবে দলীয় ১৪৩ রানে আউট হন তিনি। ৭১ বলে ৭০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান লিটন। এরপর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন শান্ত।
নিজের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ৫৯ বলে ফিফটি তুলে নেন শান্ত। তবে দলীয় ১৮২ রানে ১৯ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব। সাকিবের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়। এরপর দলীয় ১৯০ রানে ৭৭ বলে ৭৩ রান করে আউট হন শান্ত। শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিক।
তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিক মিলে রানের চাকা সচল রাখেন। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৩৩ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন মুশফিক। অর্ধশতকের পর আরও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন মুশফিক। তবে দলীয় ৩১৮ রানে ৩৪ বলে ৪৯ রান করে আউট হন তরুণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়।
হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন ইয়াসির রাব্বি। অন্যদিকে ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যান মুশফিক। অন্যদিকে দলীয় ৩৩৯ রানে ৭ বলে ৭ রান করে আউট হন ইয়াসির রাব্বি। তবে ইনিংসের শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মুশফিক। ৬০ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
সূত্র: ইত্তেফাক