মেহেরপুরে মেঘনা(২৪) নামের এক তরুনীর প্রেমের ফাঁদে পা দিয়ে নি:স্ব হয়েছে প্রায় ১২ জন যুবক। প্রেমের জালে জড়িয়ে তাদের সাথে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। ইতো মধ্যে ২য় স্বামীর সাথেও ডিভোর্স হয়েছে মেঘনার। সেখান থেকেও নিয়েছে বেশ মোটা অংকের টাকা।
সুরমিলা আক্তার মেঘনা মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া-খাসমহল গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে। মেঘনার মায়ের সাথে বাবার বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদের পর বাবা জিল্লুর রহমান অন্যত্র বসবাস করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানান, মেঘনার মায়ের এর আগে বিয়ে হয়েছে তিন জনের সাথে এবং মেঘনার হয়েছে দুইজনরে সাথে। মেঘনা বিভিন্ন সময় এলাকা ও এলাকার বাইরে বিভিন্ন জনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে তাদের ব্লাকমেইল করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের বাড়িতে অপরিচিতদের আনাগোনাও চলে ব্যাপক। এছাড়াও কোন ছেলেকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসার জন্য কবিরাজের কাছে তাবিজ-কবজও করতো বলে অভিযোগ করেছে এলাবাসী।
ভুক্তগোী এক মাছ ব্যবসায়ী জানান, আমাকে তার প্রেমের ফাঁদে ফেলে ২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। একটি এনজিও থেকে লোন তুলে তাকে টাকা দিয়েছি। আজও সেই লোনের কিস্তি দিতে হচ্ছে।
এছাড়াও ২০১৬ সালের ১১ অক্টোবর রাজবাড়ি জেলার গোয়ালন্দ এলাকার একটি বোডিং এ এক যুবকরে সাথে অনৈতিক কাজ করার সময় পুলিশের হাতে আটক হয়। এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলাও দায়ের করা হয়। যার নাম্বার ৮২০/১৬।
এ বিষয়ে মেঘনার বাবা জিল্লুর রহমান জানান, আমি অনেক আগেই তাদের কাছ থেকে চলে এসেছি। মেঘনার এসব কর্মকান্ড আমি শুনেছি। তার মায়ের কারনেই এসব করছে সে। মেঘনা ও তার মা একদিকে আর গোটা গ্রামবাসী আরেক দিকে। মেঘনার মা ও তার বর্তমান স্বামী মিলেই মেঘনাকে দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছে। মেঘনার মায়ের কারনে অনেকেই তাদের সম্পর্কে কিছু বলতে সাহস করে না।
কাথুলী ৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য খাসমহলের বাসিন্দা একরামুল হক এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন। আমি তাদের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারবো না।
এ বিষয়ে মেঘনার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়।