অনেক আগেই শোনা গিয়েছিল মেটা বিনামূল্যে তাদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এললামা উন্মুক্ত করবে। অনেক জল্পনা-কল্পনা ও আগ্রহের পর অবশেষে মেটা তাদের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্মুক্ত করে দিয়েছে। ওপেন সোর্স টিয়ারের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি টেক্সট জেনারেট করবে, অনুবাদ করবে ও অডিও তৈরি করতে সক্ষম। এললামা মেশিন লার্নিং সিস্টেম যা কোডকে স্বাভাবিক ভাষাতে রূপান্তর করতে পারে। বিশেষত ইংরেজি ভাষায় এই রূপান্তর ভালোভাবে করতে পারে। স্টারকোডার, স্ট্যাবলকোডার, পলিকোডারের মতো এললামা ওপেন সোর্স সিস্টেম।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেটা জানিয়েছে, ‘মেটা বিশ্বাস করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশের সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি। সেজন্যই আমরা এটিকে ওপেন সোর্স রেখেছি। কোড লামার মতো ওপেন সোর্স কোডের সমস্যা ব্যবহারকারীরাই শনাক্ত করে সমাধান করতে পারবে।’
কোড লামা একাধিক সংস্করণে রয়েছে। একটি সিস্টেম পাইথনের জন্য করা। এখানে নির্দেশনা ভালোভাবে অনুসরণ যেন করা হয় সেভাবেই গড়ে তোলা। লামা ২ কোড অনুসরণ করে বানানো এই সংস্করণ। অবশ্য লামা কোডটিকে ভালো কোড বলা যাবে না। অন্তত কোপাইলট যে সক্ষমতা দেখিয়েছে সে হিসেবে এটি ভালো কোড নয়। লামা ২ কে ট্রেইন করার জন্য ওয়েবে প্রাপ্ত তথ্যগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে। লামা-২ প্যারেন্ট মডেল এর উপর ভিত্তি করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটিকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে যেন কোড আর স্বাভাবিক ভাষা সে বুঝতে পারে। লামা মডেলের প্রতিটি কোড ৭ বিলিয়ন প্যারামিটার থেকে ৩৪ বিলিয়ন প্যারামিটারে ট্রেন করা হয়েছে এবং এজন্য ৫০০ বিলিয়ন টোকেন ব্যবহার করেছে। সেইসঙ্গে ব্যবহৃত হয়েছে কড সম্পৃক্ত ডাটা। লামাকে পরবর্তীতে ফাইন টিউন করার জন্য ১০০ বিলিয়ন অতিরিক্ত টোকেন খরচ করতে হয়েছে। মানুষ অ্যানোটেটর থেকে ‘হেল্পফুল’ ও ‘সেফ’ উত্তর জেনারেট করা সম্ভব হবে।
লামার একাধিক কোড অবশ্য অস্তিত্বশীল টোকেন থেকে কোড প্রবেশ করতে পারবে। আর এই সিস্টেম আরো এক মিলিয়ন টোকেন গ্রহণ করতে পারে। মেটা দাবি করছে তাদের ৩৪ বিলিয়ন প্যারামিটার মডেলটিই সেরা। এরকম একটি কোড প্রোগ্রামার ও নন-প্রোগ্রামার উভয়ের জন্যই আবেদনময়ী হয়ে উঠেছে। গিটহাব দাবি করছে অন্তত ৪০০ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা কোপাইলট ব্যবহার করছে। তাদের এক সমীক্ষাও বলছে, চলতি বছর ৭০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোডিং টুল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই লামার ক্ষেত্রেও কিছু সুবিধা রয়েছে। যদিও নিরাপত্তা ঘাটতির বিষয়টি রয়েছে আলোচনায়। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় এটি একটি বড় পদক্ষেপ।
সূত্র: ইত্তেফাক