শরীরের বাড়তি মেদ আমাদের অনেকেরই চিন্তার কারণ। এটি নিয়ে একদিকে যেমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, তেমনি নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিও দেখা দেয়। জটিল এ সমস্যার সহজ সমাধান মিলতে পারে সহজেই। জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনলেই ওজন কমিয়ে ঝরঝরে হওয়া সম্ভব।
যদিও বিভিন্ন লোকের ওজন ভিন্নভাবে কমে থাকে। তবে বেশিরভাগ লোকেরই সমস্যা ক্ষেত্র হিসেবেই থাকে পেটের মেদ। পেটের মেদ একবার হয়ে গেলে তা থেকে মুক্তি পাওয়া বেশিরভাগ মানুষের জন্যেই কঠিন হয়ে পড়ে।
এ ছাড়া পেটের চর্বি বা মেদ আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যও বড় ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে ও মেদ কমাতে সহায়তা করতে পারে একটি সুস্থ ও সুন্দর জীবনধারা। তাই জেনে নিন মেদ কমাতে যে জীবনধারায় আনবেন ৫ পরিবর্তন—
১. হাইড্রেটেড থাকা
হাইড্রেটেড থাকা বা বেশি বেশি পানি পান করা ওজন কমানো ও স্বাস্থ্য বজায় রাখার সর্বোত্তম উপায়। এর জন্য আপনি ডিটক্স ওয়াটার, গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, ব্ল্যাক কফি, ফলের জুস ইত্যাদি তরল পানীয় বেশি পান করতে পারেন। এ ধরনের পানীয় আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং পেটের মেদ কমাতেও সাহায্য করবে।
২. চিনিযুক্ত খাবার এড়ানো
চিনিযুক্ত খাবারগুলো সাধারণত অক্সিটোসিনে পূর্ণ থাকে। চিনি সমৃদ্ধ যে কোনো খাবার অনেক সুস্বাদু হলেও এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকরও বটে। এগুলোকে ধীর বিষ হিসেবেও বলা হয়ে থাকে। তাই এ ধরনের খাবারগুলো পরিহার করতে হবে।
৩. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া
প্রোটিন জাতীয় খাবার আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা থাকতে সহায়তা করে। কারণ এ ধরনের খাবারগুলো হজম হতে সময় নেয়। তাই এগুলো মেদ কম হতেও সহায়তা করে। এ জন্য আপনার ডায়েটে সেরা খাবার হিসেবে ডাল, ওটস, সবুজ শাকসবজি, ডিম এবং বাদাম রাখতে পারেন।
৪. লবণ কম খাওয়া
লবণে থাকা সোডিয়াম আমাদের শরীরের ফোলাভাব কমায়, যা বিপাককে ধীর করে দেয়। একটি ধীর বিপাকীয় হার একজনের পক্ষে ওজন হ্রাস করা কঠিন করে তোলে। তাই যতটা সম্ভব কম লবণ খাওয়া ভালো।
৫. শস্যজাতীয় খাবার খাওয়া
পূর্ণ শস্যজাতীয় খাবারগুলো ওজন কমানোর জন্য অনেক বেশি কার্যকরী ও সহায়ক। বিপরীতে রুটি, আটা, বিস্কুট ও অন্যান্য খাবার পরিশোধিত শস্য থেকে করার কারণে তা ওজন কমাতে কম সহায়ক হিসেবে কাজ করে। তাই আপনার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় পুরো শস্যজাতীয় খাবার যোগ করুন।