বলিউড অভিনেতা শাহিদ কাপুরের ‘দেবা’ দ্রুতই ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে। এ সিনেমায় পুলিশ অফিসার শাহিদের সুঠাম শরীর নজর কেড়েছে অনেকেরই। ৪৪-এ পা দিয়েও তিনি যেন তরুণ। তার নির্মেদ ও পেশিবহুল চেহারাও যথেষ্ট চর্চিত। অথচ অভিনেতাদের মতো সুঠাম চেহারা পেতে চান অনেকেই, কিন্তু ডায়েট করেও সমাধানে আসতে পারছেন না। জিমেও যান, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। অধরাই থেকে যাচ্ছে নিজের শরীরের সুঠাম দেহ।
আসলে শুধু জিমে যাওয়া কিংবা ডায়েটে নয়, দৈনন্দিন জীবনযাপনেও লুকিয়ে থাকে ফিট থাকার মন্ত্র, বিশ্বাস করেন অভিনেতা শাহিদ কাপুর। বিভিন্ন সময়ে একাধিক সাক্ষাৎকারে তার জীবনযাপন নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি রাত ৮টার মধ্যে নৈশভোজ সারেন। রাত জেগে পার্টি করেন না। মাঝরাতে উঠে উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
এদিকে পুষ্টিবিদরা বলছেন, দিনভর নিয়ম মানলেও বেশি রাতে কারও কারও উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রবণতা অনেক সময় ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে ওঠে। সবটাই যে খিদে পায় তা কিন্তু নয়; চোখের খিদেও লুকিয়ে থাকে এতে।
ফিটনেস প্রশিক্ষক প্রীতি ত্যাগি বলেন, কাজের চাপে রাত জাগতে হলে উল্টোপাল্টা খাওয়ার প্রবণতা ক্ষতিকর। স্বাভাবিকভাবে ভাজাভুজি বা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বলেন, মন-মেজাজ খারাপ থাকলে তার নেপথ্য কারণে নজর না দিয়ে অনেকেই ফ্রিজ খুলে খাবার খুঁজতে থাকেন। মন ভালো করতে লোভনীয় খাবার খাওয়াটা সমাধান হতে পারে না।
বরং ওজন কমাতে এবং ফিট থাকতে শাহিদ কাপুরের মতোই দ্রুত রাতের খাওয়া শেষ করতে বলেছেন পুষ্টিবিদরা। খেতে বলছেন পরিমিত। তার কারণও আছে। পুষ্টিবিদ সোনিয়া বক্সী বলেন, রাত করে খাওয়ার অভ্যাসে দেহে ফ্যাট জমে। স্বাভাবিকভাবেই ওজন বেড়ে যায় এতে। ঘুমানোর অন্তত আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা আগে নৈশভোজ শেষ করা উচিত। এই অভ্যাসে যেমন বদহজম এড়ানো যায়, তেমনই ঘুমের সমস্যাও কমে। আর ঘুমের সঙ্গে সুস্বাস্থ্যের— এমনকি ওজন কমারও যোগ রয়েছে।
আরেক পুষ্টিবিদ স্বাতী সন্ধান বলেন, ওজন বশে রাখতে হলে নিয়ম মেনে এবং সময়ে খাওয়া জরুরি। রাত ৭-৮টার মধ্যে খাওয়া শেষ করলে ক্যালোরি যেমন দ্রুত খরচ হবে, ঠিক তেমনই পুষ্টি শোষণেও সুবিধা হবে।
এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি— ঘুমিয়ে পড়লে স্বাভাবিকভাবেই বিপাকহারের গতি কমে যায়। যার ফলে খাবার হজমে যেমন সমস্যা হয়, তেমনই ওজন বৃদ্ধিরও ভয় থাকে। সে কারণেই রাত ৮টার মধ্যে রাতের খাওয়া খেয়ে নেওয়া ফিটনেসের জন্য জরুরি।
সূত্র: যুগান্তর