মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতী পেলেন মেহেরপুরের কৃতি সন্তান আবু মোহাম্মদ সালেহ শুভ। ২০০৩ সালে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশন অফিসার হিসেবে যোগদান করার পর ধাপে ধাপে তিনি পদোন্নতী লাভ করে সর্বশেষ ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতী পান।
আবু মোহাম্মদ সালেহ শুভ মেহেরপুর শহরের কাসারি পাড়ার বিশিষ্ট রাজনীতিক ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। তিনি মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে এসএসসি এবং মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯৯ সালে এইচএসসি পাশ করেন। পরে তিনি চট্ট্রগাম মেরিন একাডেমি থেকৈ ২০০৩ সালে ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সাইন্স ডিগ্রি অর্জন করে। ওই বছরে বাংলাদেশী একটি জাহাজে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি ইটালিয়ান, জাপানি সহ বিভিন্ন দেশের জাহাজে চাকরি করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি ২৫টি জাহাজে চাকরি করেছেন। তার মধ্যে কার্গো, ট্যাংকার, বাল্ক, কন্টেনেইনার জাহাজ রয়েছে। ইতোমধ্যে তিনি ৬০টি দেশে জাহাজ নোঙর করেছেন।
ক্যাপ্টেন আবু সালেহ শুভ বলেন, মেরিন পেশা খুবই ভালো এবং ডিমাণ্ডেবল পেশা। এখানে আছে সংগ্রাম, এখানে আছে ত্যাগ। তার বিনিময়ে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ। প্রতিনিয়ত এ সেক্টরে জবের চাহিদা বাড়ছে এবং তরুণরা আগ্রহী হচ্ছে। শুভ আরো বলেন, এ পেশাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘোরার সুযোগ রয়েছে। এ পেশাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে সরকার দেশে আরো চারটি মেরিন একাডেমি চালু করেছে।
ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতী লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার বন্ধুরা। বিশেষ করে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ সালের বন্ধু ডা. কাজল আলী, ডা. আবুল কাশেম, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, মেহেরপুর সরকারি কলেজে প্রভাষক নাহিদ রেজা, বন্ধু সদরুল আহমেদ নাহিদ, ওয়ালিয়ুর রহমান রাজা, হিমু, সন্দিপ দাস সহ সকল বন্ধুরা।