বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মিয়ামিতে খেলছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তবে ক্যারিয়ারের এক একটা সময় খেলেছেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সোলোনার হয়ে। ২০০৩ সাল থেকে বার্সেলোয়ার হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন তিনি।
প্রথমে বার্সেলোনার ‘সি’ টিমের হয়ে খেলার পর ২০০৪-২০০৫ মৌসুমে খেলেছেন ক্লাবটির ‘বি’ দলে। এরপর টানা ১৭ বছর খেলেছেন স্প্যানিশ জায়েন্ট ক্লাবটির মূল দলে। পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে অসামান্য সাফল্য পান এই আর্জেন্টাইন। তার সময় ক্লাবটি কাটিয়ে নিজেদের ইতিহাসের সেরা সময়। বার্সার সমর্থকরাও এখনো এই কিংবদন্তিকে নিজেদের অন্তরে লালন করে। দীর্ঘ দুই দশক স্পেনের খেলার সুবাদে বার্সেলোনার ইবিজায় এলাকাতে ইবিজা ম্যানশন নামে লিওনেল মেসির ছিল বিলাস বহুল বাড়ি, যা নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ১১ মিলিয়ন ইউরো।
এবার এই কিংবন্তি ফুটবলারের বাড়িতে হামলা করেছে আন্দোলনকারীরা। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে জানা যায়, বতর্মানে স্পেনের ঐ অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তন ব্যাপকভাবে বেড়েছে, যার কারণে শহরে তীব্র তাপপ্রবাহের সৃষ্টি হয়েছে। এতে কয়েক জন মারা গেছে বলে জানা যায়। সেখানে ‘ফিউচারো ভেজেটাল’ নামে একটি সংঠনের সদস্যরা আন্দোলন করেছে।
তাদের মতে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়কের বাড়িতে পরিবেশ দূষণে সহায়ক। যার কারণে গেল সপ্তাহে আন্দোলনকারীরা এই আর্জেন্টিনা ও বার্সেলোনার কিংবদন্তির বাড়িতে হামলা চালায়। সেই সঙ্গে বাড়ির দেওয়ালে প্রতিবাদী স্লোগানও লিখে দেয় আন্দোলনকারীরা, যা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। এছাড়া সংগঠনটির সদস্যরা ব্যানার নিয়ে অবস্থান করে। সেখানে লেখা ছিল, ‘বিশ্বকে বাঁচান, ধনীদের প্রতিরোধ করুন এবং পুলিশ সরিয়ে নিন।’ এছাড়া আন্দোলনকারীরা নিজেদের এক্সে মেসির বাড়িতে হামলা করা নিয়ে পোস্ট শেয়ার করে। তারা বাড়িটি অবৈধ।
এই নিয়ে তারা লিখেন, ‘আমরা মেসির অবৈধ ইবিজার বাড়িতে বিভিন্ন গ্রাফিতি এঁকেছি। অবৈধভাবে এই বাড়িতে নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে সাবেক এই বার্সা তারকা ১১ মিলিয়ন ইউরোরও বেশি অর্থ ব্যয় করেছেন। ওই বাড়ি নির্মাণের সময়ও ২-৪ মানুষ নিহত হন এবং নির্মাণসংক্রান্ত কাজের কারণে তাপপ্রবাহ বেড়েছে।’ তবে নিজের বাড়িতে হামলা হওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি সাবেক এই বার্সা তারকা।
সূত্র: ইত্তেফাক