মেহেরপুরের কথিত সাংবাদিক, আত্মস্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর গবেষক আতাউর রহমানসহ দুজনের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আপর আসামি হলেন রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।
আজ বৃহস্পতিবার মেহেরপুরের ডায়মন্ড অটোমেটিক রাইস মিলের ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে মেহেরপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। যার মামলা নং ৫১৪/২০২৩, ধারা ৪৪৭/৪৪৮/৩২৩/৩৮৫/৩৮০/৫০৬ প্যানাল কোড। মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেসন (পিবিআই) কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মামলার ২নং আসামি আতাউর রহমান একজন মুখোশধারি সাংবাদিক। ১ নং আসামির প্রত্যক্ষ মদদে ও অন্যান্য সন্ত্রাসীদের ব্যবহারে আসামিদ্বয় দীর্ঘদিন যাবৎ বাদির নিকট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছেন। চাঁদা না দিলে আসামিরা বাদির প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে এই প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি সাধণ করবে। এছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিবে। বাদি তাদের এই হুমকিতে পাত্তা না দিলে বিগত ৯ জুলাই বিকাল ৫টার দিকে দেশীয় অস্ত্রসহ রাইসমিলে প্রবেশ করে। পরে ম্যানেজারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করে ১ নং আসামি রফিকুল ইসলাম ক্যাশ বাক্সে থাকা নগদ ৩ লাখ ৮২ হাজার ৭২০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। ২ নং আসামি আতাউর রহমান অস্ত্র ধরে প্রকাশ্যে ১২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এসময় বাদি অপারগতা প্রকাশ করলে আসামিরা মিলের গেটে তালা লাগিয়ে দেন এবং মিল বন্ধ করার ঘোষণা দেন। পরে বাদি ৯৯৯ কল দিলে পুলিশ গিয়ে মিলের তালা খুলে দেন। পুলিশ আসার আগেই তারা পালিয়ে যায় বলে উল্লেখ করেছেন মামলার বাদি মোস্তাফিজুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, কথিত সাংবাদিক আতাউর রহমান নিজেকে বিভিন্ন অখ্যাত ও নাম সর্বস্ব পত্রিকা ও অনলাইনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে থাকেন। নিজেকে কখনো কখনো বঙ্গবন্ধুর গবেষক পরিচয় দিয়ে থাকেন।