মেহেরপুর সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া থেকে শাহানার খাতুন (৪০) নামের এক মহিলার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে কুলবাড়িয়া তালপট্টি মাঠে থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মেহেরপুর মর্গে নিয়েছে। নিহত শাহানারা খাতুন গাংনী উপজেলার সগলপুর গ্রামের মৃত রাহেদুল ইসলামের স্ত্রী।
কুলবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রাজন হোসেন জানান, খবর পেয়ে এসে দেখি এখানে লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
নিহত শাহানারা খাতুনের ছোট ছেলে সুজন হোসেন জানান, তার মা গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার সময় নানী বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর থেকে আর খোজ পাওয়া যায়নি। রাতে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। সকালে মাঠে কাজে যাওয়া যেয়ে দেখি মায়ের মরদেহ পড়ে আছে। তখন আমি লোকজন ডাক দিই।
স্থানীয় হাসেম আলী জানান, শাহানারা খাতুন সহগলপুর গ্রামের বাসিন্দা সকালে শুনে আমি এসে দেখি মরদেহ পড়ে।
শাহানারা খাতুনের বোনের ছেলে সুমন জানান, আমার খালু (শাহানারার স্বামী) প্রায় ২০ বছর আগে আত্মহত্যা করে মারা গিয়েছেন। খালা দুই সন্তান নিয়ে সংসার চালাচ্ছিলো। হঠাৎ কিভাবে এমন ঘটনা ঘটলো বুঝতে পারছিনা।
মেহেরপুর সদর থানার অধিনস্ত বৈকন্ডপুর পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আব্দুল মতিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের এক জোড়া সেন্ডেল ও একটি বাটন মোবাইল ফোন পাশে পড়ে থাকতে পাওয়া যায়। নাকে হালকা ক্ষত পাওয়া গেছে। আমাদের তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আসল তথ্য জানা যাবে।
মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আশেপাশের গ্রামের শতশত উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভীড় জমায়। স্থানীয় জনতা ও মৃত ব্যাক্তির আত্নীয় স্বজনেরাও মৃত্যুর সঠিক কারন বলতে পারেননি।