মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানীয় গাড়াডোব গ্রামের একজন রোগী ঠান্ডা, জ¦র,কাশি নিয়ে ভর্তি হওয়ায় করোনা সন্দেহে হাসপাতাল ছেড়েছে অন্যান্য রোগীরা।
গত মঙ্গলবার রাতে তাকে ক্যাবিনে রাখা হলেও বুধবার দুপুরে তাকে আইসোলেশন ইউনিটে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকাতে পাঠানো হয়েছে। একই সাথে গাড়াডোব গ্রামটিকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের মধ্য বয়সী একজন ঠান্ডা,জ¦র,কাশি নিয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। প্রাথমিক অবস্থায় ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত সন্দেহ হওয়ায় ওয়ার্ডের ভর্তিকৃত অন্যান্য রোগীরা স্বেচ্ছায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছেড়ে চলে যান।
সেবিকারাও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কথা ভেবে রোগীর কাছে যেতে চান না। বুধবার দুপুরে ওই রোগীর অবস্থা দেখে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয় ও নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকাতে প্রেরণ করা হয়। সেই সাথে মেহেরপুর সিভিল সার্জনের অনুরোধে গাড়াডোব গ্রামটিকে লকডাউন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসন।
মেহেরপুর জেলায় ৪৭০ জন প্রবাসীকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। এদের মধ্যে ২৪৪ জনকে ছাড়পত্র দিয়ে পরিবারে পাঠানো হয়। বাকীদেরও মেয়াদ শেষ করে ছাড়পত্র দেয়া হবে। তবে আশার বিষয় মেহেরপুরে এপর্যন্ত মেহেরপুর জেলায় একজনও করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন অফিস।
প্রতিবেশীরা জানান, ভর্তিকৃত ব্যক্তি বেশ কিছুদিন জ¦র ও অ্যাজমা রোগে ভুগছিলেন। গত তিন দিন আগে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার পর বাড়ি আসেন। মঙ্গলবার রাতে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। কেউ জানেনা তার কি হয়েছে। বুধবার প্রশাসনের লোকজন এসে লকডাউন দেয়ার পর সকলেই আতংকিত হয়ে পড়ে।
স্থাানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি মেহেরপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে কাজ করতেন। তিনি এলাকার মানুষের সাথে কম মেলামেশা করতেন। তার কোন আত্মীয় বিদেশ ফেরত নন আবার তিনিও কোথাও যান নি। তবে দীর্ঘদিন তিনি অ্যাজমা রোগে ভুগছিলেন এবং মেহেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। যদি সে করোনায় আক্রান্ত হয় তাহলে সদর উপজেলার অনেকেই আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সাদিয়া সুলতানা জানান, অসুস্থ রোগীটি করোনায় আক্রান্ত কি না এখনও নিশ্চিত নয়। তার পরও তাকে আইসোলেশনে রেখে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকাতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সেই সাথে সিভিল সার্জনের অনুরোধে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন গ্রামটিকে লকডাউন ঘোষণা দেন। তিনি আরো জানান, এটি মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ তাই সকলেরই ভয় পাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। রোগীদেরকে বোঝানোর পরও তারা হাসপাতাল ছেড়েছে। নতুন কোন রোগী আসেনি। তবে সকলকে আঙ্কঙ্কিত না হবার অনুরোধ জানান তিনি।