নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইএমও ডাঃ ফরহাদ হোসেন পাভেল এখন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী
মেডিকেল কলেজের চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা স্বাভাবিক হলেও কারোর সাথে কথা বলতে পারছেন না বলে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক সূত্রে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মেহেরপুর ২৫০ সয্যা জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা: ফরহাদ হোসেন পাভেল যশোরের চৌগাছা উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নজরুল ইসলামের ছেলে। গত ১৩ নভেম্বর তিনি হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার (৮ ঘন্টা- ডিউটি) ছিলেন। তবে কর্তব্যরত সময়ে অন্য মেডিকেল অফিসারের সাথে ডিউটি সমন্বয় করে কর্মস্থল থেকে অনুপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি গত ১৫ নভেম্বর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে কর্তৃপক্ষ ডাঃ পাভেলের নিকট আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করে। পরবর্তীতে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে ডাঃ পাভেল নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অচেতন অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক মেহেরপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলেও তার সন্ধান পাওয়াতে সেসময় মেহেরপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি গ্রহণ করা হয়নি।
সে সময় এই বিষয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন ও দৈনিক কালবেলার প্রতিবেদককে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘বিষয়টা মিসিং বলা ভুল হচ্ছে। উনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি সম্পর্কে বলা যাবে।’
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য একই চিকিৎসক বিগত ২১ জন একই হাসপাতালের আউটসোর্সিং এ নিয়োগপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার সজলের হাতে লাঞ্ছিত হয়। সজল মেহেরপুর পৌর এলাকার বোস পাড়ার সাবান আলির ছেলে। এ ঘটনায় সে সময়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা হয়েছিল।