মেহেরপুরের বারাদী সবজী হাটে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টির ফলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাটে পানি নিষ্কাষনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও পানি সরবরাহের ড্রেনের মুখটি বন্ধ থাকায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, মাস খানিক আগে থেকে বিএডিসি বারাদী খামারে চার হাজার মেট্রিক টন একটি সার গুদামের নিমার্ণ কাজ চলছে। এই গুদামের কাজ চলার কারনে যে ড্রেনটি আছে তার পানি নিষ্কাশনের মুখ আটকে যাওয়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
আজ শনিবার ছিল বারাদী হাট। এদিন দুপুরে বৃষ্টির ফলে বাজারের অলিগলিসহ কয়েকটি প্রবেশ রাস্তা পানিতে ডুবে যায়। ফলে হাটে বেচাকেনা করতে আসা হাজারো মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
জনগুরুত্বপূর্ণ এই বাজারটিতে এ রকম জলাবদ্ধতার কারণে মানুষের বাজার করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেওয়া হলে বাজারে আগত ক্রেতা ও বিক্রেতাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
আজ দুপুর ৩ টার দিকে সামান্য সময়ের বৃষ্টিতে হাঁটু সমান জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানির মধ্যে কষ্ট করেই প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে হয় ক্রেতাদের। অত্র অঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম বারাদী হাট বর্তমানে একটু বৃষ্টিতেই মাছ,মাংস, সবজি হাটসহ বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
হাটের কাঁচামাল ব্যবসায়ী খেদের আলী বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় এই গলির পথ। ফলে এদিকে ক্রেতা ঠিকমত না আসায় কেনাবেচা কম হচ্ছে। কাঁচামাল বিক্রি করতে না পারলে পঁচে গেলে লস গুনতে হবে।
হাটে ঘুরে দেখা গেছে,মাছবাজার, আশপাশের নানা জায়গায় এক ঘন্টার বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে যায়।
একজন সবজি ব্যবসায়ী জানায়, এই আয় দিয়েই চলে আমার সংসার। কিন্তু আজ শনিবার প্রবেশ রাস্তায় হাঁটু পানি থাকায় কোনো ক্রেতাই আসেনি। আমরা নিয়মিত খাজনা দিই, তারপরেও কেন এমন ভোগান্তি। বারাদী হাটের ইজারাদার রফিকুল মিয়া ও বারাদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মোমিন, জানায় দ্রুত সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আগামী বুধবার হাটের আগেই এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।