মেহেরপুরের মুজিবনগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৩ জন আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালের দিকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক জয়পুর গ্রামের চলমান মেম্বার সাকার উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী(৫৫), আনন্দবাস গ্রামের শহীদ বিশ্বাসের ছেলে রানা বিশ্বাস(৪০) ও রুহুল আমিনের ছেলে মামুন(৪০)।
এদিকে আটকের পর মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় মামলার ভিত্তিতে আমরা এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছি, বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া আর যেন কোন সহিংসতা না ঘটে সেই লক্ষ্যে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আনন্দবাস গ্রামে মেহেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা বিজয় মিছিল শুরু করে। মিছিলটি স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে পৌঁছালে মিছিলের মধ্যে থেকে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারে। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনরা। ছাদের উপর থেকে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ঘটনার এক পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে নৌকার পক্ষের ১৮ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন কর্মী-সমর্থক আহত হয়।
এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক আলতাব হোসেন বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসসহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালের দিকে আনন্দবাস ও জয়পুর গ্রাম থেকে তিন জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।