মেহেরপুর সদর উপজেলা রাধাকান্তপুর গ্রামের সাইদুর রহমানের ছেলে জুনায়েদ আহম্মেদ লিখন (১৬) কে গভীর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে এনে পিটিয়েছে একই গ্রামের মৃত সামসুল হোসেনের ছেলে জাহিদ (৩৫) সহ অনেকে । এ ঘটনায় মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে রাধাকান্তপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার জুনায়েদ হাসান লিখন বলেন, মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ জালানার পাশে জাহিদ (৩৫) আমাকে ডাক দেয় বলে বাইরে আসো কথা আছে। আমি যখন বাইরে বাহির হয় তখন আমাকে বাড়ির পাশেই ভৈরব নদী সেখানে ডেকে নিয়ে যায়। ভৈরব নদীর ধারে পৌছালে পিছন থেকে কই এক জন এসে হাত, পা বেধে ফেলে এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালিসহ এলোপাতাড়ে ভাবে মারতে থাকে। আর আমাকে বলতে থাকে তোর বাবাকে ফোন কর ফোন করে ২ লক্ষ টাকা দিতে বল না হলে তোকে এখানেই মেরে ফেলবো। ওদের মার যখন সহ্য না করতে পারি তখন জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকি। আমার চিৎকারে আশেপাশের গ্রাম থেকে লোকজন দ্রুত চলে আসতে থাকে এবং এক পর্যায়ে আমাকে হাত, পা বাধা অবস্থাতেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ঘটনা স্থলে স্থানীয়রা পৌছালে দ্রুত জুবায়ের আহম্মেদ লিখন কে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখন তিনি মেহেরপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসধীন অবস্থায় আছে।
স্থানীয় জানান, মৃত সামসুল হাসানের ছেলে জাহিদ হাসান কিছুদিন আগে বিদেশ থেকে বাড়িতে এসেছে। বিভিন্ন অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েছে, তাকে সবাই চেনে মাস্তান নামে। বিএনপি নেতা হিসেবেও এক সময় দাপুটে ছিল জাহিদ। ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামিলীগের সহ সভাপতির নাতি ছেলেকে এইভাবে অপহরণ করে নির্যাতন করায় নিন্দা জানিয়েছেন অনেকেই। এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারও দাবি করেছে এলাকাবাসী।
এ ঘটনায় আসামীপক্ষরা পলাতক রয়েছে। এ জন্য তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
Attachments area
Reply
Forward