মেহেরপুরের শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা গোলাম সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ভাবিকে মারধর ও শ্লিলতাহানী করার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ভাবি তহমিনা খাতুন বাদি হয়ে ১৬ জুন ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন, যার নাম্বার ২১। আসামী গোলাম সিদ্দিকী ঝিনাইদহ পৌরসভার বড় খাজুরাপাড়ার মৃত ছাদেক আলী মন্ডলের ছেলে। তিনি বর্তমান মেহেরপুরে শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।
মামলার এজাহারে খাজুরা মাঝেরপাড়া গ্রামের খসরু হোসেনের স্ত্রী বাদী তহমিনা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, গত ১৫ জুন তার দেবর রোকন আলী মন্ডল ইন্তেকাল করেন। ওই দিন নামাজে জানাযা পড়ান তার নাতী ছেলে হাফেজ রাওফুল ইসলাম রাব্বি। দাফন শেষে আসামী গোলাম সিদ্দিকী লোকজনের সামনে উত্তেজিত হয়ে কেন তার ভাইয়ের জানাযা রাব্বি পড়ালো এ নিয়ে হৈচৈ শুরু করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রাব্বির পিতা মুক্তার হোসেন মুক্তোর সাথে এ নিয়ে বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হয়।
এক পর্যায়ে বাঁশের লাঠি দিয়ে গোলাম সিদ্দিকী বাদীসহ তার নাতী ছেলে হাফেজ রাব্বি ও পুত্রবধু সালমা খাতুনকে মারধর করে। আহত হয়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময় বাদীর কাপড় খুলে শ্লিলতাহানী ঘটানোর চেষ্টা করে।
তবে এ অভিযোগ ষড়যন্ত্র উল্লেখ করে গোলাম সিদ্দীকি মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তাদের নামে ১৬ জুন মামলা আমি প্রথমে করি, যার নাম্বার ২০। আমার করা মামলার কাউন্টার হিসেবে তারা মামলাটি করেছে। আমাদের পারিবারিক বিরোধ হয়েছে এটা সত্য। কিন্তু সেই বিরোধে আমি আহত হয়েছি। তহমিনা খাতুন মামলা থেকে বাচতে আমার বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই হাফিজুর রহমান জানান, এটা একটি পারিবারিক বিরোধ এতে উভয় পক্ষই মামলা করেছে। তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। ঘটনার পর থেকেই সবাই পলাতক রয়েছে।