জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন এবং তেলের এই ঘাটতি পূরণের জন্য দেশে যুগোপযোগী কর্মসূচী গ্রহনের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তিতে উন্নত জাতের তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি কল্পে বিএডিসি’র পক্ষ থেকে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরনসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছে মেহেরপুর আমঝুপি বিএডিসি।
বিএডিসি’র ডাল ও তেল বীজ বিভাগের প্রধান যুগ্মপরিচালক কৃষিবিদ একেএম নূরুল ইসলাম অনুপ্রেরণায় ও গঠনমূলক কর্মসূচী গ্রহণের ফলে গত ২০২১-২২ বর্ষে শুধুমাত্র মেহেরপুরে ১৮৭ হেক্টরে খামার ও চুক্তিবদ্ধ চাষিদের জমিতে ১৯৭ মে.টন তেল জাতীয় ফসল বীজ, যার মধ্যে ৯২ হেক্টর সরিষা থেকে ১০০.০১ মে.টন বীজ উৎপাদন করা হয়।
চলতি ২০২২-২৩ বর্ষে ৩১৫ হেক্টর জমিতে ৩৬৭ মে.টন বীজ উৎপাদনের মধ্যে সরিষাতে ১৪৬ হেক্টরে ১৬১ মে.টন যা গত বছরের তুলনায় সরিষাতেই শতকরা ১৬১ ভাগ বেশী উৎপাদন হয়।
এ দিকে আমঝুপি বিএডিসি’র মেহেরপুর ডাল ও তেল ভিত্তি বীজ উৎপাদন খামারের উপপরিচালক কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, বাংলাদেশে সরিষা বীজের বর্তমান চাহিদা ৪১৭৯ মে.টন। যার মধ্যে বিএডিসির খামার ও চুক্তিবদ্ধ চাষীদের মাধ্যমে উৎপাদন ও সরবরাহ করা হয় ১১৮৫ মে.টন, যা চাহিদার মাত্র ২৮%।
এ ব্যাপারে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, আমন-বোরের মাঝে বাড়তি ফসল হিসেবে সরিষা চাষের উদ্যোগ গ্রহণে এলাকার চাষীরা স্বাগত জানিয়েছে তার পাশাপাশি বাড়তি ফসল পাওয়ায় তারা খুশী। সেই সাথে তাদের ফসল উৎপাদনের নিবিড়তা ২০০% থেকে একবারে ৩০০ বা ৪০০% উন্নীত হয়েছে ও কাঙ্খিত ফসল উৎপাদনের কোন ব্যাঘাত ঘটেনি ।
কৃষিবিদ সঞ্জয় দেবনাথ আরও বলেন, তেল জাতীয় ফসলের আবাদ বাড়াতে মেহেরপুরস্থ বিএডিসি’র অত্র ডাল ও তেল বীজ উৎপাদন খামারের মূল কার্যক্রম সরিষা, সয়াবিন, সূর্যমুখী’র বীজ উৎপাদনের বাইরে দক্ষিণ কোরিয়ান তেলবীজ ফসল পেরিলা, তিসি ১৩টি হাইব্রিড ও ০২টি ইনব্রিডসহ মোট ১৫টি দেশী ও বিদেশী জাতের সূর্যমুখীর উৎপাদনশীলতা পরীক্ষার জন্য ট্রায়াল প্লট স্থাপন করা হয়েছে।