মেহেরপুরে “অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, অংশীজনের প্রত্যাশা” বিষয়ক এক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণসাক্ষরতা অভিযানের সহযোগিতায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এ সভার আয়োজন করে।
মউক-এর নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ তরিকুল ইসলাম।
এসময় তিনি বলেন, প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও অভিভাবকদের অসচেতনতার কারণে বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়ে, যার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব হিসেবে সরকারি পরিসংখ্যানে শিক্ষার হার তুলনামূলক কম দেখা যায়। তবে এখন কেন্দ্রীয় সরকার ও জেলা শিক্ষা প্রশাসনের কঠোর ও নিরবিচ্ছিন্ন তদারকিতে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। তিনি এ সময় শিক্ষার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হযরত আলী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমিন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন মেহেরপুর জেলার উপপরিচালক এ. জে. এম সিরাজুম মুনীর।
এসময় বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি নাজমুল হক টিনু, আজগর আলী মাস্টার ও আব্দুর রব।
এছাড়াও এসময় সরকারি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘গণসাক্ষরতা অভিযান এর কর্মকর্তাসব সজিবুল ইসলাম ও সামসুন নাহার কলি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন মউক এর নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুবিধাবঞ্চিত ও পেছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় শিক্ষিত করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীর ভর্তি বৃদ্ধি ও ঝরে পড়া শিক্ষার্থী হ্রাসে মউক কমিউনিটি ভিত্তিক এপ্রোচ পদ্ধতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে ডোর টু ডোর ক্যাম্পেইন অন্যতম।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে এই কর্মসূচির প্রধান পৃষ্ঠপোষক গণসাক্ষরতা অভিযানের কর্মকর্তাবৃন্দ তাঁদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে পৌঁছাতে সংস্থার নিজস্ব উদ্যোগকে সাফল্যভিত্তিক কার্যক্রম হিসেবে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপন করেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানের মধ্যে এক মুক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত স্টেকহোল্ডারবৃন্দ মানসিকতার পরিবর্তন, মডেল মাদ্রাসা, মাদ্রাসা শিক্ষায় বৈষম্য, উপবৃত্তির অধিক বরাদ্দ, বিদ্যালয় শিক্ষকের স্বল্পতা, জেন্ডার বৈষম্য, পাঠ্যপুস্তক কারিকুলাম রচনায় যৌক্তিকতা এবং শিক্ষা প্রশাসনের তদারকির ধীরগতিসহ বিভিন্ন বিষয়ের চ্যালেঞ্জ ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী, সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৬০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মউক এর মানবাধিকার কর্মী সাদ আহম্মদ ও মোছাঃ কাজল রেখা।