মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ায় অপহরণকারীসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন মেয়ের পিতা মন্টু মোল্লা। এক সপ্তাহ পার হলেও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী বৈশাখী খাতুন।
মন্টু মোল্লা মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের মৃত দারেজ মোল্লার ছেলে।
অপহরনের দায়ে অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের আলী হোসেন, তার স্ত্রী আলতা খাতুন, ছেলে সুমন, মেয়ে জান্নাতুল খাতুন ও রিপন হোসেন।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের মন্টু মোল্লার মেয়ে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী বৈশাখী খাতুনকে আলী হোসেনের ছেলে সুমন (২১) প্রায় দুই মাস যাবৎ আমার মেয়েকে উত্যেক্তা করে আসছে। বৈশাখি খাতুন বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে অপহরনকারী সুমন বিভিন্ন খারাপ অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাকে উত্ত্যেক্তাসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তার সেই কুপ্রস্তাবে বৈশাখী খাতুন সাড়া না দিলে বিগত ১৭ আগস্ট বেলা ১ টার দিকে আশরাফপুর বাউনঘাট এলাকায় অভিযুক্তরা সবাই তার পথ আটকে বৈশাখীকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ খবর পাইনি।
এঘটনায় অপহরণকারী সুমন ও তার পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পিতা মন্টু মোল্লা।
তিনি বলেন, আমার ছোট নাবালিকা মেয়েকে তারা জোরপুর্বক অপহরণ করে নিয়ে গেছে। প্রায় এক সপ্তাহ হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ তাদের কোনো খোঁজ পাইনি। এব্যাপারে থানায় মামলা করার পর সাহেবপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মাত্র একদিন সুমনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সুমনের মায়ের মোবাইল ফোন নিয়ে এসেছিল। তার কয়েক দিন পর সেই মোবাইল ফোন ফেরৎ দিয়ে এসেছে।
সাহেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, ওই ছাত্রীকে উদ্ধার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া স্থানীয়ভাবেও কথা বার্তা চলছে উদ্ধারের। মেয়েটি এর আগেও একই ছেলের সাথে দুই বার চলে গেছিল। সেখান থেকে পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে।