মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনী উপজেলার অবৈধ ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে গত দুদিনে ১৩টি ইটভাটা বন্ধ ও প্রায় ১৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গতকাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার খায়রুল হাসানের নেতৃত্বে উপজেলার চাঁদপুর, ফতেপুর ও রামদাসপুরে ৩টি ইটভাটায় অভিযান চালানো হয়। অবৈধভাবে কাঠ পোড়ানো ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স না থাকায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ইটভাটা তিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইটভাটা গুলো হচ্ছে চাঁদপুরের কেএণ্ডকে ব্রিকসের ২ লাখ টাকা, ফতেপুরের এইচবি ব্রিকসের ১ লাখ টাকা, রামদাসপুরের ২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৪ ও ৬ ধারা লংঘন করা ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স না থাকায় ইটভাটাগুলো বন্ধ করা হয় এবং জরিমানা আদায় করা হয়।
অপরদিকে, গতকাল মঙ্গলবার মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মণ্ডলের নেতৃত্বে উপজেলার মহাহনপুর গ্রামে স্টার ব্রিকসের দেড় লাখ টাকা, এসআরবি ব্রিকসের দেড় লাখ টাকা এবং কোমরপুর গ্রামের আরএসবি ব্রিকসের ১ লাখ টাকা জরিমানা ও ভাটা তিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে, দুপুরের দিকে গাংনী উপজেলায় চারটি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ও সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোজাফফর আহমেদ, বামুন্দি ফায়ার সার্ভিস ও গাংনী থানা পুলিশের একটি দল অংশ নেন।
এর আগের দিন একই উপজেলায় তিনটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি ভাটা তিনটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাদ্দাম হোসেন জানান, গাংনী উপজেলার আকুবপুর এলাকার, রূপসা ব্রিকস, জনতা ব্রিকস ও থ্রি স্টার ব্রিকসের মালিকদের এক লাখ টাকা করে ৩ লাখ টাকা এবং সমতা ব্রিকসের মালিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় বিপুল পরিমাণ কাঁচা ইট পানি দিয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছিল না। এছাড়া, কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যায়। এসব অনিয়মের কারণে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
মেহেরপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোজাফফর আহমেদ মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা নির্বীহী অফিসার মহোদয়রা এসকল অভিযান পরিচালনা করছেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি হিসেবে আমরা প্রসিকিউশন করছি। তিনি আরও জানান, গত বছরের হিসেব মতে মেহেরপুর জেলায় ৯৩টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র একটি পরিবেশ ছাড়পত্র রয়েছে।