লুণ্ঠিত ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং বিচারের নামে অবিচার বন্ধের দাবিতে মেহেরপুরে আদালত বর্জন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাত দিনব্যাপী আদালত বর্জন কর্মসূচি পালন করছে ইউনাইটেড লয়ার্স ফ্রন্ট ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী সমিতি।
ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে তারা এ কর্মসূচি পালন শুরু করেছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আইনজীবীরা মেহেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোন মামলার শুনানিতে অংশ নেবেন না।
আজ দুপুর পৌনে একটার সময় মেহেরপুর জেলা আইনজীবী ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর বারের সভাপতি এডভোকেট কামরুল হাসান সহ আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
বিএনপিপন্থী আইনজীবী মোখলেসুর রহমান স্বপন বলেন, ‘সমস্ত বিচারিক আদালত আমরা সফলভাবে বর্জন করেছি। এর একটাই কারণ আমি এবং আমরা যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে প্রতিহত এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আদালত বর্জনের মাধ্যমে আমরা একটা মেসেজ দিতে চেয়েছি, এবং সেই মেসেজ আমরা দিয়েছি।’
মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট কামরুল হাসান বলেন, ‘সাত দিনব্যাপী অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করছি।আগামী ছয় দিনেও আমরা আদালতের কোন ধরনের শুনানিতে অংশ নেব না। ৭ তারিখের ভোট বর্জনের জন্য আমরা লিফলেট বিতরণ করব এবং মাঠে থাকবো। ‘
এর আগে গত রবিবার মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এক সভায় সারা দেশের আদালত বর্জন কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য গত ২৭ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ১ থেকে ৭ জানুয়ারি সারা দেশের আদালত বর্জন কর্মসূচির ঘোষণা করেন।