আইনজীবী নিয়োগ করা ছাড়াই নিজের মৌখিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে জামিন পেলেন এক ব্যক্তি।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ্ এ আদেশ দেন। আদালত তাকে নিজ জিম্মায় মামলার পরবর্তী তারিখে আদালতে উপস্থিত হওয়ার শর্তে জামিনে মুক্তি প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের অফিস সহায়ক মোছাঃ রোজিফা খাতুন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে ১১ নভেম্বর, ২০২২ খ্রি তারিখে জি,আর ২৭৯/২২নং মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাতনামা আসামিরা তার ভাইয়ের বাসা থেকে গহনা ও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল চুরি করেছে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। সেই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে সহ মোট নয় জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরবর্তীতে সকল আসামি বিভিন্ন মেয়াদে জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি লাভ করলেও মামলার ধার্য তারিখে অনুপস্থিত থাকায় আসামি শিমুল আহমেদের বিরুদ্ধে পুনরায় প্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করা হয়। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে উপস্থাপন করলেও আইনজীবী নিয়োগ করার মতো কেউ না থাকায় পুনরায় প্রায় দেড় মাস তিনি জেল হাজতে ছিলেন।
মামলাটি শুনানির জন্য ডাকা হলে আসামি তার কোনো আইনজীবী নেই এবং আইনজীবী নিয়োগ করার মতো কেউ নেই উল্লেখ করেন। আদালত তখন তাকে নিজেই তার বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য বলেন।
এসময় অভিযুক্ত নিজেই শুনানি করেন এবং আইনজীবী নিয়োগ করার মতো তার পরিবারে কেউ নেই বলে জানিয়ে নিজেই মৌখিকভাবে জামিনের প্রার্থনা করেন। দুই মেয়াদে তিনি প্রায় ৩ মাস হাজতে আছেন বলেও উল্লেখ করেন। পরে দীর্ঘ হাজতবাস এবং মামলার গুনাগুন বিবেচনায় আদালত তাকে নিজ জিম্মায় পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করে মুক্তির আদেশ দেন।