সব্জীভান্ডার খ্যাত মেহেরপুর জেলায় চলতি মৌসুমে আগাম শিম চাষে ভাল ফলন ও দাম পাচ্ছেন চাষীরা।
বর্তমান বাজার দর ও আবহাওয়া ভাল থাকলে বিঘা প্রতি এক লাখ টাকা পর্যন্ত শিম বিক্রির আশা করছেন জেলার কৃষকরা।
মুজিবনগরের কোমরপুর, ইসলামপুর, গোপালপুর, টুঙ্গি, সোনাপুর, বলিয়ারপুর, আশরাফপুর, নুরপুরসহ আশেপাশের বিস্তির্ণ মাঠ জুড়ে দেখা যাচ্ছে শিমের বাগান।
যতারপুর গ্রামের শিম চাষী নাসির উদ্দীন বলেন, আমি ২ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। তিনি বলেন এক বিঘা জমিতে শিম চাষ করতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। এক বিঘা জমিতে প্রায় ১০০ মন শিম উৎপাদন হয়ে থাকে।
যতারপুর গ্রামের ফিরাতুল ইসলামের ১ বিঘা, আব্দুল হান্নানের ২ বিঘা, লিটন হোসেনের ২ বিঘা, হারুন আলীর দেড় বিঘা, আশরাফ আলীর দেড় বিঘা, কাঁঠালপোতা গ্রামের আব্দুস সাত্তার মিয়ার দেড় বিঘা, রতন আলীর দেড় বিঘা, কামাল হোসেনের ৩ বিঘা, বাবলু হোসেনের আড়াই বিঘা, জমির উদ্দীনের ৩ বিঘা, পিরোজপুর গ্রামের উজির উদ্দীনের ২ বিঘা, আব্দুল গফুরের ২ বিঘাসহ এলাকার প্রায় ৭০০ চাষী শিম চাষী এই চাষ করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। যতারপুর গ্রামের আব্দুল গফুর বলেন, এলাকার চাষীরা অটো, বিস্কুট, হাবিব জাতের শিম চাষ করে থাকেন।
কোমরপুর গ্রামের উজির আলী বলেন, এলাকা থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক শিম দেশের বিভিন্ন এলাকায় যায়। বিশেষ করে ঢাকা, চিটাগাং, বরিশাল, সিলেট খুলনাতে এলাকার চাষীরা শিমের বাজার ধরে থাকে।
মেহেরপুর জেলায় চাষীদের কাছে অর্থকরী ফসল একটি শিম চাষ। শিম চাষ করে এলাকার অনেক চাষী তাদের ভাগ্য বদলিয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারও চাষীরা আগাম শিম চাষ করেছে।
শি চাষী আব্দুস সাত্তার মিয়া জানান, এলাকার চাষীরা প্রথমদিকে ১২০ টাকা কেজি দরে সিম বিক্রি করেছেন। বর্তমানে শিম ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে পাইকারী বিক্রি করছে চাষী। ফলন ভাল হওয়ায় এই দামেই খুশি তারা। এবার বিঘা প্রতি শিম চাষে চাষীদের খরচ হয়েছে ২০-২৫ হাজার টাকা।
কৃষি বিভাগের হিসেবে এবার জেলায় আগাম শিম চাষ হয়েছে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে।
চাষীরা জানান, ইতোমধ্যে শিমের ভাল দাম পেয়ে শিম বিক্রি করে খরচের টাকা তুলে নিয়েছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শঙ্কর কুমার মুজুমদার জানান, এই ফলন যাতে অব্যাহত থাকে তার জন্য শিমের রোগবালাই প্রতিরোধে মাঠ পর্যায়ে চাষীদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগের মাঠ কর্মীরা।