সরকার পদত্যাগের একদফা দাবিতে ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের অংশ হিসেবে মেহেরপুরে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্র-জনতা।
সকাল ১১টার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন এবং সরকার পতনের দাবী করে বিভিন্ন শ্লোগান তোলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনকারীরা শ্লোগান দেন, “এক দফা এক দাবী, শেখ হাসিনা কবে যাবি, আমার ভাই মরলো কেনো শেখ হাসিনা জবাব দে”।
আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ মিছিলে আটকে পড়ে শহরের বিভিন্ন যানবাহন। আটকে দেওয়া হয় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও মুজিবনগর সড়ক। ফলে ঘন্টাব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের ‘একদফা এক দাবি শেখ হাসিনার পদত্যাগ’, দিয়েছি তো রক্ত, আরও দিবো রক্ত’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, – আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরেসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা গেছে।
আন্দোলনকারীরা বলেন, সোনার বাংলায় বৈষম্যের কোন ঠাই হবে না। আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের উপর হামলা, গুলি, টিয়ারসেল মারা হয়েছে। আমাদের অসংখ্য ভাই, সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছে। এখন আমরা এক দফা দাবি সরকারের পদত্যাগ চাই। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমাদের আন্দোলন চলবে।
সরেজমিনে দেখা গেছে , মেহেরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আন্দোলনকারীরা মেহেরপুর সরকারি কলেজ মোড়ে আসতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ লাঠি দিয়ে দায়িত্বরত অবস্থায় প্রথম আলোর মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু সাঈদকে বেদম মারধর করে। আবু সাঈদকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিলের ছবি নিতে গেলে যুগান্তরের মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি তোজাম্মেল আযমের মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। পরে মোবাইল ফোনটি দিয়ে দেন তারা।
এদিকে মেহেরপুর শহরে যুবলীগ, গাংনীতে মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক ও মুজিবনগরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের উদ্যোগে সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।